রোববার বগুড়া, গোপালগঞ্জ, চাঁদপুর, ফরিদপুর, নীলফামারী, শরীয়তপুর, নোয়াখালীসহ বিভিন্ন জেলায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেন নানা শ্রেণিপেশার মানুষ।
সমাবেশ থেকে বক্তারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনে হেফাজতে ইসলামসহ কয়েকটি ইসলামী দলের বিরোধিতার মধ্যেই শুক্রবার গভীর রাতে কুষ্টিয়া পৌর শহরে জাতির পিতার নির্মাণাধীন ভাস্কর্যে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় স্থানীয় একটি মাদ্রাসার দুই ছাত্র ও দুই শিক্ষককে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এই ঘটনার প্রতিবাদে জেলায় জেলায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ-সমাবেশের সংবাদ পাঠিয়েছেন জেলা প্রতিনিধিরা।
বগুড়া
গোপালগঞ্জ
মানববন্ধনে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে ধর্মান্ধ অপশক্তির সকল অপচেষ্টার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয় এবং নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাংচুরে জড়িতসহ ধর্মের অপব্যাখ্যাকারীদের চিহ্নত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
চাঁদপুর
সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মানববন্ধন করেছে আওয়ামী লীগ।
মানববন্ধনে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান বক্তারা।
ফরিদপুর
দুপুরে জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুরে শহরের ইমামউদ্দিন চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল মুজিব সড়ক হয়ে প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।
সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তরা বলেন, মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি সমাজ ও রাষ্ট্রের নানা স্তরে ঘাপটি মেরে আছে। এরা সুযোগ পেলেই হিংস্র ছোবল মারে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে বিজয়ের মাসে ওরা ওদের আস্ফালনের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে।
নীলফামারী
শহরের সোনালী ব্যাংক সড়কে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন ছাড়াও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীনতা প্রধান শিক্ষক অ্যাসোসিয়েশন, স্বাধীনতা সহকারী শিক্ষক অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী এবং নানা পেশার হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
তারা ওই পারাজিত শক্রুদের বিষ দাঁত ভেঙে দেওয়ার দাবি জানান।
শরীয়তপুর
সকালে শরীয়তপুর জেলা, সদর উপজেলা ও পৌরসভার আওয়ামী লীগসহ তার সহযোগী সংগঠন বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
বিক্ষোভ মিছিলটি জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয় থেকে শুরু করে শহরের প্রধান প্রাধন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে এক সমাবেশ হয়।
টাঙ্গাইল
সকালে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। এতে আওয়ামী লীগ ছাড়াও মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ যোগ দেয়।
বেলা সাড়ে ১১টায় টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
রংপুর
সকালে নগরীর বেতপট্টি দলীয় কার্যালয় থেকে আওয়ামী লীগ প্রতিবাদ মিছিল বের করেছে। মিছিলটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে গিয়ে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
কুড়িগ্রাম
বাগেরহাট
বিকালে শহরের রেলরোডে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
নোয়াখালী
সমাবেশে বক্তারা সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রতিহত করার আহ্বান জানানো হয়।
গাজীপুর
চান্দনা-চৌরাস্তা ঈদগাহ ময়দান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে তারা প্রতিবাদ সভায় যোগ দেন।
ঠাকুরগাঁও
মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার চৌরাস্তার মোড়ে এসে শেষ হয়।
মিছিলে ছাত্রলীগের জেলা, পৌর ও সদর উপজেলা নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
বিকালে জেলা শহরে আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগীদের নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় লোকনাথ উদ্যানে (টেংকের পাড়) গিয়ে শেষ হয়।