রাজশাহীতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের মারধরে গ্রেপ্তার ৪

রাজশাহীর শাহমখদুম মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Nov 2020, 11:46 AM
Updated : 28 Nov 2020, 11:46 AM

শনিবার সকালে ও আগের রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এ হামলায় আহত ছাত্র আশিকুর রহমান শুক্রবার রাতে রাজশাহী নগরীর চন্দ্রিমা থানায় কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ২১ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান স্বাধীনের ছোট ভাই মিঠু এবং তার স্ত্রী বিউটি। অপর দুইজনের নাম পরে জানাবে বলেছে পুলিশ।

শর্ত পূরণ না হওয়ায় গত ২ নভেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রাণলয় কলেজটি বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশনের নির্দেশ দেয়। তখন থেকে শিক্ষার্থীরা দ্রুত মাইগ্রেশনের জন্য আন্দোলন করে আসছে।

তারই প্রেক্ষিতে শুক্রবার বিকালে শিক্ষার্থীদের ওপর এ হামলা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এতে অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হন। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

চন্দ্রিমা থানার ওসি সিরাজুম মুনীর বলেন, নয় জনের নাম উল্লেখ করে ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এছাড়া ১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

“মামলার পর রাতে দুইজনকে এবং সকালে আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

হামলার ভিডিও দেখে চিহ্নিত করে মিঠু এবং তার স্ত্রী বিউটিসহ অপর দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের পুলিশ অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য মন্ত্রণালয়ে কর্তৃপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চার সদস্যের প্রতিনিধি দল পরিদর্শনে আসেন। তারা ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেন।

প্রতিনিধি দলের সদস্য অধ্যাপক ডা. সরফুদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, মেডিকেল কলেজের যে পরিবেশ থাকা প্রয়োজন তা না থাকলে সেটি চলবে না। তবে যদি পরিবেশ তৈরি করতে পারে, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে পারে, তবে ঢাকায় গিয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেব।

হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যারা এ হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিচার হবে।

তিনি আরও বলেন, কোনো দিন যদি এ মেডিকেল কলেজ চালু হয় তবে শিক্ষক নিয়ে আসতে হবে। যতদিন শিক্ষক নাই ততদিন শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

“যত তাড়াতাড়ি পারি তাদের অন্য কলেজে পাঠানো হবে।”

তার সঙ্গে ছিলেন, স্বাস্থ্য শিক্ষা দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর একেএম আমিরুল ইসলাম মোরশেদ, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপ-সচিব আবদুল কবীর এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা দপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. উৎপল কিশোর।

অন্যদিকে, হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শনিবার কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।

কলেজ ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।