বুধবার দুপুরে পিরোজপুর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নাহিদ নাসরিন এ আদেশ দেন বলে জানান আসামীপক্ষের আইনজীবী শহিদুল হক পান্না।
একেএমএ আউয়াল পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং তার স্ত্রী লায়লা পারভীন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
২০০৮ ও ২০১৪ সালে পরপর দুইবার পিরোজপুর-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য আউয়াল।
গত ৩০ ডিসেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের বরিশালের উপ-পরিচালক মো. আলী আকবর তাদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেন।
এসব মামলায় ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ছয় জন ভুয়া ব্যক্তিকে ভূমিহীন দেখিয়ে সরকারি খাস জায়গা ইজারা নেওয়া এবং সেখানে তার স্ত্রীর নামে তিনতলা ভবন নির্মাণ করার অভিযোগে রয়েছে। এছাড়া, স্বরূপকাঠি উপজেলার ডাকবাংলোর কাছে সরকারি খাস জমি অবৈধভাবে দখল করে আধুনিক ডাক বাংলো নির্মাণ করে ভাড়া দেওয়া এবং পিরোজপুরে ৪৪ শতাংশ সরকারি খাস জমির চারদিকে দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী শহিদুল হক পান্না জানান, পিরোজপুর স্পেশাল আদলতে দুদকের করা এ তিন মামলায় আসামিরা জামিনে ছিলেন।
“বুধবার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে একেএমএ আউয়াল এবং তার স্ত্রী লায়লা পারভীন উপস্থিত হয়ে জামিন চাইলে বিচারক তাদের তিন মাসের আন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন।”
তবে দুদকের আইনজীবী মুনসুর উদ্দিন হাওলাদার এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
মামলাগুলোর দায়েরের পর গত ৭ জানুয়ারি আসামিরা আবেদন করলে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দেয় হাই কোর্ট।
এ আট সপ্তাহ শেষে ৩ মার্চ তারা পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তারা। তবে বিচারক মো. আব্দুল মান্নান শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতের এ আদেশের পর বিক্ষোভে ফেটে পড়ে আউয়ালের সমর্থকরা। জেলা আইনজীবী সমিতি অনির্দিষ্টকালের জন্য আদালত বর্জনের ঘোষণাও দেয়।
এমন পরিস্থিতিতে গত ২১ সেপ্টেম্বর পিরোজপুর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এবং জেলা ও দায়রা জজ মোহা. মহিদুজ্জামান তাদের এক মাসের জামিন আদেশ দেন।
এদিকে, জামিন মঞ্জুর না করা সেই বিচারক মো. আব্দুল মান্নানকে বদলি করা হয়। নতুন বিচারক নাহিদ নাসরিনের আদালতে ফের আবেদন করলে জামিন পান তারা।