মঙ্গলবার তাদের ফেনী কারাগারে পাঠানো হয় বলে ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওমর হায়দার জানান।
মামলার বাদী ফেনী থানার এসআই এমরান হোসেন বলেন, সোমবার দুপুরে সদর উপজেলার রাণীরহাট বাজারের একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সভা থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সহায়তা ৪৪ জন কিশোর-তরুণকে আটক করে পুলিশ।
তিনি জানান, সোমবার রাতে বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় অজ্ঞাত আরও ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আটক ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার সকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এসআই এমরান হোসেন আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ২৬ জনের বাড়ি ফেনী সদরে, ছয়জনের বাড়ি দাগনভূঞায়, পাঁচজনের বাড়ি ছাগলনাইয়ায়, দুইজনের বাড়ি সোনাগাজীতে ও দুইজনের বাড়ি ফুলগাজী উপজেলায়। এছাড়া তিনজনের বাড়ি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ ও সেনবাগ উপজেলায়। এদের বেশিরভাগের বয়স ১৬-১৮ বছরের মধ্যে।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা তাদের সঙ্গীয় ৫০/৬০ আসামিসহ গোপন বৈঠকে মিলিত হয়ে সরকার, রাষ্ট্র ও বিচার বিভাগ নিয়ে বিভিন্ন আপত্তিকর মন্তব্য ও উস্কানিমূলক কথাবার্তা সম্বলিত প্রচার ও প্রচারণাপত্র নিয়ে আলোচনা ও নাশকতা করার পরিকল্পনা করছিল বলে স্বীকার করেছেন।
মামলার জব্দ তালিকায় মুহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাত লিখিত ‘জীবন বদলে যাবে’ বই ৮৫টি, ‘আমরা কি চাই, কেন চাই, কিভাবে চাই’ বই ১৮টি, অধ্যাপক গোলাম আজম লিখিত ‘মনটাকে কাজে দিন’ বই ৫৮টি, ‘আদর্শ কিভাবে প্রচার করতে হবে’ বই ৮২টি ও একটি ডিজিটাল ব্যানারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
স্থানীয় কাজিরবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি কাজী বুলবুল আহমেদ সোহাগ বলেন, সকালে স্থানীয়রা তাকে জানায় বাজারের হক কমিউনিটি সেন্টারে ‘শিবিরকর্মীরা’ গণজমায়েত করে অনুষ্ঠান করছে। তাৎক্ষণিক তিনি দলীয় ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে সেখানে যান।
“এই সময় কমিউনিটি সেন্টারের হল রুমে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ফেনী শহর শাখার ব্যানারে ‘নবীনবরণ’ অনুষ্ঠান চলছে দেখতে পায়। প্রায় দুই শতাধিক কিশোর-তরুণ অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছিল।”
তিনি বলেন, অনুষ্ঠান সম্পর্কে তাদের জিঙ্গাসাবাদ করলে ‘শিবিরকর্মীরা’ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা করে। এতে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়। এরপর তিনি বিষয়টি ফেনী মডেল থানা পুলিশকে অবগত করেন।