বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদে চূড়ান্ত তালিকাটি প্রকাশ করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে তালিকাটি পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ জানান, ২০১৭ সালে ‘ক’ তালিকাভূক্ত ৬৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে পুনরায় যাচাই-বাছাইয়ের জন্য চলতি বছরের ৬ মে জেলা প্রশাসক তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করেন।
তিনি বলেন, “যাচাই-বাছাই কমিটি আবেদনকারীদের সহযোদ্ধা হিসেবে লালমুক্তি বার্তা ভুক্ত সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ, জমা দেওয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও অন্যান্য দালিলিক প্রমাণসহ প্রকাশ্য ও গোপন তদন্ত এবং গণশুনানির মাধ্যমে ধাপে ধাপে এ কার্যক্রম শেষ করেছি আমরা।”
বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝটন চন্দ বলেন, পুনরায় যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আমরা আবেদনকারী ও সহযোদ্ধা সাক্ষীদের পৃথক পৃথকভাবে সাক্ষ্য নিয়েছি; যাতে কোনো পক্ষপাতিত্ব না হয়।
এছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে জমাকৃত মুক্তিযোদ্ধা সনদসহ অন্যান্য দালিলিক প্রমাণাদির প্রকাশ্য তদন্ত করেছি বলেন তিনি।
বোয়ালমারীর যুদ্ধকালিন কমান্ডার আলাউদ্দিন আহমেদ জানান, এ যাচাই কার্যক্রমের প্রতিটি ধাপে ‘সর্বোচ্চ সতর্কতা ও কঠোর নিরপেক্ষতা অবলম্বন করা হয়েছে।’
বোয়ালমারী উপজেলায় আগে থেকেই ৫০৬ জন মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভূক্ত রয়েছেন। সব প্রক্রিয়া শেষে এই ৪৪ জনের নাম সেখানে যুক্ত হতে যাচ্ছে।