বুধবার সকালে ঢাকার ্হএক হাসপাতালে ৬৩ বছর বয়সে পিসিসিআই-এর এই নেতার মৃত্যু হয়েছে।
মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন ডা. ফজলুর রহমান বলেন, গত ১৮ সেপ্টেম্বর পঞ্চগড়ে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সদর হাসপাতালে আসেন ইকবাল কায়সার। পরে তিনি ঢাকায় চালে যান।
“সেখানে তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় বলে আমরা জানতে পারি। সেখানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।”
মৃতের ছোট ভাই জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু সালেক জানান, ঢাকার এক বেসরকারি হাসপাতালে বেশ কিছুদিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন তার ভাই।
মাঝে কিছুটা অবস্থার উন্নতিও হলেও কয়েকদিন আগে ফের অবস্থার অবনতি হয়। তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।
দুদিন ধরে ছিলেন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর বুধবার সকাল ৯টার দিকে তিনি মারা যান। এরপর দুপুরে ঢাকার সোবহানবাগে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার পঞ্চগড়ে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে বলে জানান আবু সালেক।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে তিনি ওই হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানেই নমুনা দিয়ে তার করোনাভাইরাস পজেটিভ শনাক্ত হয়। এছাড়াও আগে থেকেই উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগেও আক্রান্ত ছিলেন বলে জানান মৃতের ছোট ভাই।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে রেখে গেছেন।
প্রয়াত ইকবাল কায়সার একাধিকবার পঞ্চগড় চেম্বারের সভাপতির দায়িত্ব পালন ছাড়াও মোটর মালিক সমিতি, পরিবার পরিকল্পনা সমিতি, ঠিকাদার কল্যাণ সমিতি, নাসিবসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
তার মৃত্যুতে রেলপথ মন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম সুজন, স্থানীয় সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, পঞ্চগড় চেম্বার, পঞ্চগড় প্রেসক্লাব, আমদানি-রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সংগঠন ও নেতারা শোক প্রকাশ করে পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে।