জয়পুরহাটে শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

জয়পুরহাটের সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বদলি বাণ্যিজ্যসহ ভুয়া বিল-ভাউচার ব্যবহার করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

জয়পুরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Sept 2020, 03:59 PM
Updated : 29 Sept 2020, 05:30 PM

সাইফুল ইসলাম এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “এ ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করব না। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এখানকার প্রধান। তিনিই ভাল বলতে পারবেন।”

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম তৌফিকুজ্জামান ‘অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর প্রক্রিয়া চলছে’ বলে জানিয়েছেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমি ছুটিতে থাকার সময় নিয়ম অনুযায়ী সহকারী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে শুধু রুটিন ওয়ার্ক করার কথা। কিন্তু তিনি বদলি, যোগদান ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে যে অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন তা ইতোমধ্যে আমি অবগত হয়েছি।

“এমন গর্হিত অপরাধ বিষয়ে ঊর্ধ্বতনকে লিখিতভাবে জানানোর প্রক্রিয়া চলছে।”

পাঁচবিবি উপজেলার মোলান রশিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সদ্য বদলি হওয়া প্রধান শিক্ষক ফারজানা অভিযোগ করেন, “আগে ছিলাম দোঘড়া স্কুলে। ১০ হাজার টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন সহকারী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফল ইসলাম। দিতে পারিনি বলে বাড়ি থেকে ১৫-১৬ কিলোমিটার দূরে মোলান রশিদপুর স্কুলে বদলি করা হয়েছে আমাকে। এত দূরে একজন মেয়ে আমি কিভাবে যাতায়াত করব? শিক্ষার্থীদের লেখাপড়াই বা কিভাবে করাব?”

এছাড়া ভুয়া বিল-ভাউচার ব্যবহার করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

জয়পুরহাট পৌর কমিউনিটি সেন্টারের পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, “জয়পুরহাট পৌর কমউিনিটি সেন্টারে শিক্ষকদের কোনো ওরিয়েন্টেশন হয়নি। অথচ এই কমউিনিটি সেন্টার ভাড়া নেওয়া হযেছে মর্মে ভুয়া ভাউচার ব্যবহার করা হয়েছে।

“সেই ভাউচারে মো. আবদুর রউফ নামে এক ব্যক্তির সই দেখা যাচ্ছে। ভাউচারে মো. আবদুর রউফকে পরিচালক পদে দেখানো হয়েছে। অথচ ওই নামে কোনো ব্যক্তি এখানে নেই। কোনো দিন ছিল না।”

ওই ভাউচার অনুযায়ী, জয়পুরহাট পৌর কমউিনিটি সেন্টারের ভাড়া বাবদ ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।