উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য শফিকুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার তার ইউনিয়নের ১, ২, ৪, ৫ ও ৬ ওয়ার্ডের ২৬০ পরিবারকে ইউএনডিপি খাদ্যসামগ্রী দিয়েছে।
“প্রায় সবার আলু ও পেঁয়াজ সম্পূর্ণ পচে গেছে। বেশির ভাগ মানুষই প্যাকেটজাত খাদ্যসামগ্রী নেওয়ার পর আলু-পেঁয়াজ ফেলে গেছে।”
প্যাকেটে ১৫ কেজি চাল, দুই কেজি আলু, দুই কেজি পেঁয়াজ, এক কেজি মসুর ডাল, এক লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি লবণসহ সাত ধরনের শাক-সবজির বীজ ও পাঁটি মাস্ক দেওয়া হয় বলে জানান ইউপি সদস্য সদস্য শফিকুর রহমান।
স্থানীয় ইউএনডিপি কর্তৃপক্ষ খাদ্যসামগ্রী পচে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছে।
ইউএনডিপির কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্প থেকে এই খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয় জানিয়ে প্রকল্পের কাউখালী উপজেলার সমন্বয়ক মিঠুন মারমা বলেন, এসব খাদ্যসামগ্রী প্যাকেটজাত করা হয়েছে ২০-২৫ দিন আগে। কিন্তু তালিকা তৈরির কাজ করতে দেরি হয়েছে। বিতরণ করতে দেরি হওয়ায় কিছু খাদ্যসামগ্রী পচে গেছে। সেগুলো পরিবর্তন কবে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
বিতরণের আগে পরীক্ষা করা হয়নি বলে তিনি জানান।
কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শতরূপা তালুকদার বলেন, ‘আলু-পেঁয়াজসহ কিছু খাদ্যসামগ্রী পচে গেছে, যা আমি দেখেছি। এগুলো বদলে দেওয়া হবে।”