রোববার সকাল ১০টা থেকে দুই ঘণ্টাব্যাপী এ মানবন্ধনে জেলার ১২টি উপজেলার বিভিন্ন কিন্ডারগার্টেনের প্রতিষ্ঠাতাসহ প্রায় এক হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারী অংশ নেন বলে আয়োজকরা জানান।
টাঙ্গাইল কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন আয়োজিত এ মানববন্ধন কর্মসূচির সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন আহমেদ শাহীন ও সদস্য সচিব মো. খায়রুল বাসারসহ অন্যান্যরা মানববন্ধনে বক্তব্য দেন।
তারা বলেন, কিন্ডার গার্টেন দেশের শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও উন্নয়নে অবদান রাখলেও করোনাভাইরাসের সংকটের দুর্দিনে তাদের পাশে কেউ নেই।
তারা জানান, টাঙ্গাইলসহ সারাদেশে প্রায় ৬৫ হাজার কিন্ডার গার্টেন রয়েছে। কর্মরত রয়েছে প্রায় প্রায় আট লাখ শিক্ষক-কর্মচারী। শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় এক কোটি। এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য সরকারের কোনো অর্থ ব্যয় হচ্ছে না। বরং আট লাখ শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। ৬৫ হাজার বাড়ির মালিক কিন্ডারগার্টেন থেকে বাড়ি ভাড়া পায়।
গত ৩০ এপ্রিল টাঙ্গাইল কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছিল। এরপর জেলার ৭১৩টি কিন্ডারগার্টেনের ৭৭৫৯ জন শিক্ষক-কর্মচারীর তালিকাসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের কাছে সরকারি অনুদান চেয়ে আবেদনও করা হয়। ৬ জুলাই ওই আবেদনের কপিসহ ৫ দফা দাবিতে ডিসির কাছেও আবেদন করা হয়। তবে কোনো সাড়া পাননি তারা।
স্বাস্থবিধি মেনে কিন্ডারগার্টেন খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, অন্যথায় কিন্ডারগার্টেনের বাড়িভাড়া পরিশোধের জন্য সরকারি সহায়তা, প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ বিল মওকুফ করাসহ কিন্ডারগার্টেন খুলে দেওয়ার পূর্ব পর্যন্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের মাসিক অনুদান দিন।