লালমনিরহাটে স্ত্রীর মামলায় স্বাস্থ্য সহকারী গ্রেপ্তার

লালমনিরহাটের আদিতমারীতে এক গৃবধূর করা নির্যাতনের মামলায় তার স্বামীকে গ্রেপ্তার হয়েছেন।

উপজেলার মহিষাশ্বহর এলাকা থেকে বুধবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।

গ্রেপ্তার ভবেশ চন্দ্র রায় ওরফে উত্তম (৩২) আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য সহকারী পদে চাকরি করেন। তিনি আদিতমারীর পলাশী ইউনিয়নের বড়াইবাড়ি মহিষাশ্বহর গ্রামের মৃত নিরঞ্জন কুমার রায়ের ছেলে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ভবেশ ২০০৯ সালের ২৪ অগাস্ট পাশের মহিষখোচা গ্রামের এক তরুণীকে বিয়ে করেন। বিয়ের এক বছর না যেতেই স্ত্রীর পরিবারের কাছে আড়াই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। স্ত্রীর গরিব বিধবা মা টাকা দিতে না পারায় ভবেশ তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন এবং দ্বিতীয় বিয়ের হুমকি দেন।

এরপর ওই নারী আদালতে মামলা করলে আর কোনোদিন নির্যাতন না করার শর্তে আপোষ মীমাংসা করেন এবং আদালত থেকে মামলা তুলে নেওয়া হয়।  

কিন্তু সম্প্রতি তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এর প্রতিবাদ করায় আবার আগের স্ত্রীর কাছে আড়াই লাখ টাকা দাবি করে নির্যাতন চালান্। গত ৮ অগাস্ট আগের স্ত্রীকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন মারধর করে টেনে হিঁচড়ে সন্তানসহ বাড়ি থেকে বের করে দেন।

আদিতমারী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনায় গত ১৬ অগাস্ট স্বামীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় একটি মামলা করেন ভবেশের আগের স্ত্রী।

সেই মামলায় অভিযান চালিয়ে ভবেশকে গ্রেপ্তার করা হয় বরে ওসি জানান।

ওসি জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে ভবেশকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।