আঞ্চলিক এই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক জেলা শহরের সাথে দক্ষিণ টাঙ্গাইলের যোগাযোগের একমাত্র পথ। দেলদুয়ার থেকে পাকুল্যা হয়ে সড়কটি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে মিলেছে। অন্যদিকে দেলদুয়ার থেকে পাকুটিয়া হয়ে সড়কটি মানিকগঞ্জেও গেছে; মিসেছে নাগরপুরের সাথেও।
প্রতিদিন দেলদুয়ারসহ মির্জাপুর, নাগরপুর, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া ও ধামরাই উপজেলার লাখো মানুষ সড়কটি ব্যবহার করেন। অথচ এক যুগ সড়কটির স্থায়ী সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে ভরা।
কাজ বন্ধের কারণ জানাতে গিয়ে টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, পাথরাইল বাজার অংশটুকুতে পাথর ঢালাই করতে নতুন করে অনুমোদনের আবেদন করা হয়েছে।
“অনুমোদন পেলেই কাজ ধরা হবে।”
এছাড়া অস্থায়ী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা মালামাল নিয়েও সড়কের দুইপাশে বসতে পারছে না বলে জানান এ বাজারের মুদি পণ্যের পাইকারী ব্যবসায়ী সবুর আহম্মেদ।
“বাজারের এই দুইশ’ মিটার সড়ক ঢালাই হচ্ছে-হবে বলে গত ছয় মাস ধরে এভাবে পড়ে আছে। ভোগান্তির শেষ কবে সেটাও জানা নেই এ অঞ্চলের মানুষের “
খানখন্দে মালবাহী লরি উল্টেও অনেক ব্যবসায়ীর মালামাল ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান তারা।
অটো রিকশা চালক মোহাম্মদ আলী ও ভজন শীল জানান, পুরো রাস্তাটা সংস্কার হলেও পাথরাইল বাজারের অল্প জায়গার বেহাল দশায় প্রতিনিয়ত অটো-রিকশা-সিএনজি উল্টে দুর্ঘটনা হচ্ছে। সড়কটিতে সব ধরণের যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। যানবাহনেরও ক্ষতি হচ্ছে।
এদিকে, এ বাজারের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে দেলদুয়ার সড়ক বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, টাঙ্গাইল-দেলদুয়ার সড়কের ১২ কিলোমিটার অংশ উন্নয়নে ৪২ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ চলছে।
সড়কটির বেশি অংশের কাজ শেষ হয়েছে উল্লেখ করে বাজার অংশের কাজের ব্যাপারে তিনি বললেন, “শিগ্রই এর কাজ শুরু হবে।”