বেড়িবাঁধ মেরামত হয়নি, ‘চরম দুর্ভোগ’ হাতিয়ায়

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ গত পাঁচ দিন ধরে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেসে গেছে মাছের ঘের ও জমির ফসল।

নোয়াখালী প্রতিনিধিআবু নাছের মঞ্জু, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 August 2020, 01:06 PM
Updated : 21 August 2020, 01:06 PM
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেজাউল করিম বলেন, মেঘনার অব্যাহত ভাঙনে হাতিয়ার চর ঈশ্বর, নলচিরা, সুখচর, তমরদ্দি, সোনাদিয়া, চরকিং, বুড়ির চর, নিঝুম দ্বীপ, জাহাজমারা ও হরণী-চানন্দি ইউনিয়নে সাড়ে সাত কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বিলীন হয়ে গেছে।
এর আগে ঘূর্ণিঝড় আম্পানে আরও আট কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এসব ইউনিয়নের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ জোয়ার-ভাটার সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে আছে।

“তার ওপর গত পাঁচ দিন অস্বাভাবিক জোয়ারে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে অনেক পরিবার। অনেকের ঘরের ভেতর কোমরসমান পানি উঠেছে। ভাটার সময় স্রোতে ভেসে গেছে অনেক বসতঘর, ঘরের আসবাবপত্রসহ সবকিছু। নিরুপায় হয়ে অনেক পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ও বেড়িবাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছেন।”

বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানও এমন তথ্য দিয়েছেন।

সোনাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, “অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়ে আমার ইউনিয়নে অন্তত পাঁচ হাজার পরিবার পাঁচ দিন ধরে পানিবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে।”

চর ঈশ্বর ইউনিয়নে ‘অন্তত ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এবং জোয়ারে অনেকের বাড়িঘর ও আসবাবপত্রসহ সবকিছু ভেসে গেছে’ বলে জানিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল হালিম আজাদ।
নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মেহরাজ উদ্দিন বলেন, “বেড়িবাঁধ না থাকায় আমার ইউনিয়নে জোয়ারে গত পাঁচ দিনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেক পরিবারে রান্নার ব্যবস্থা নেই।”

এ বছর বেড়িবাঁধ মেরামত না করায় এমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দুর্গত এলাকার বাসিন্দারা।

নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, “সময়মতো বরাদ্দ না পাওয়ায় কাজ করা যায়নি।”