এছাড়া সাভারের বংশী ও তুরাগ নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে সাভার-আশুলিয়া-ধামরাইয়ের (ঢাকা বিভাগ-২) পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বরত উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাহাত রশিদ জানান।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই তুরাগ ও বংশী নদীর পানি বাড়ছে; বৃহস্পতিবার তুরাগ নদীর পানি বিপদ সীমার ৪৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয।অন্যদিকে বংশী নদীর পানি বিপদ সীমার ১৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সাভার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম ঘুরে বন্যায় পানিবন্দিদের দুর্ভোগ পোহাতে দেখা গেছে। বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করেছে। পানিতে যাদের বাড়ি-ঘর তলিয়েছে তারা কোনোমতে রাতদিন যাপন করছে।
আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক নাসিমা আক্তার বলেন, “বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘরের ভেতরে হাঁটু পানি। ছোট বাচ্চাকে বাড়িতে রেখে কারখানায় যেতে হয়। পানি আরেকটু বৃদ্ধি পেলে পড়তে হবে মহা বিপদে। তখন বাচ্চাকেই দেখবে কে? আর থাকবোই বা কোথায়।”
বন্যায় সাভার উপজেলার শিমুলিয়া, ধামসোনা, পাথালিয়া, তেতুঁলঝোড়া ও বনগাঁও ইউনিয়নের কৃষকরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজিয়াত আহমেদ জানান।
এদিকে সাভার উপজেলার সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদ জানান, বন্যায় উপজেলার শিমুলিয়া, ভাকুর্তা, তেতুঁলঝোড়া ও ধামসোনা ইউনিয়নের অন্তত ১০টি পুকুর তলিয়ে যাওয়ায় সমস্ত মাছ ভেসে গেছে। এ সকল পুকুরের মৎস চাষিদের প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বুধবার বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য বনঁগাও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের হাতে ১০০ প্যাকেট শুকনা খাবার ও ২টন জিআর’ চাল দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন ইউনিয়নগুলোতেও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হবে বলে জানান তিনি।