ইটনা থানার ওসি মুর্শেদ জামান জানান, সোমবার সকাল ১০টার দিকে হাসান আলী (৭০), সুমাইয়া (১৮), ও ৫ বছর বয়সী হীরামনির লাশ ডুবুরিরা উদ্ধার করে।
হীরামনি মাওরা গ্রামের বরজু মিয়ার মেয়ে, সুমাইয়া ওই গ্রামের মো. মোখলেছ মিয়ার স্ত্রী এবং নৌকার মাঝি হাসানের বাড়ি একই গ্রামে।
ওসি বলেন, “হাসান আলী রোববার দুপুরের দিকে একটি ছোট ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে একই উপজেলার কুর্শি গ্রামে তার আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে বাড়ির কাছাকাছি আসার পর প্রবল ঢেউয়ের তোড়ে ধনু নদীতে নৌকাটি ডুবে যায়। এ সময় আশপাশের লোকজন গিয়ে নৌকার ৮ যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করতে পারলেও নিখোঁজ হন তিনজন।”
সোমবার সকাল ৯টার দিকে প্রথমে নৌকার মাঝি হাসানের লাশ উদ্ধার করে ডুবুরি দল। এর আধা ঘণ্টা পর একই স্থান থেকে হিরামনি ও নববধূ সুমাইয়ার লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, লাশ স্বজনদের হস্তান্তর করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় ইটনা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।