সিলেটে করোনাভাইরাসের সনদ জালিয়াতি, চিকিৎসকের কারাদণ্ড

সিলেটে করোনাভাইরাসের ভুয়া সার্টিফিকেট দেওয়ার অভিযোগে এক চিকিৎসককে চার মাসের সাজা দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সিলেট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 July 2020, 03:22 PM
Updated : 19 July 2020, 03:52 PM

ঢাকায় দুই হাসপাতালে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া সনদ বাণিজ্য নিয়ে আলোচনার মধ্যে সিলেটের এই চিকিৎসককে রোববার কারাগারে পাঠানো হল। রাজধানীর জালিয়াতির দুই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সাহেদ ও ডা. সাবরিনা আরিফকে।

সিলেটে সাজাপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডা. এএইচএম শাহ আলম নগরীর মধুশহীদস্থ মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেডের নিচতলায় চেম্বারে রোগী দেখতেন।

সিলেট নগরীর মধুশহীদ এলাকায় মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে ডা. এএইচএম শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়

রোববার সন্ধ্যা ৭টায় মধুশহীদস্থ মেডিনোভায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দা রায়ের নেতৃত্বে র‌্যাব-৯ এর একটি দল অভিযান চালিয়েছে ডা. এএইচএম শাহ আলমকে তার চেম্বার থেকে গ্রেপ্তার করে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দা রায় বলেন, “বিদেশযাত্রীদের জন্য বিভিন্ন দেশ ও এয়ারলাইন্স করোনাভাইরাস নেগেটিভ সার্টিফেকেট বাধ্যতামূলক করার পর প্রবাসীদের টার্গেট করেন তিনি।

“করোনা সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা বলে বিদেশযাত্রীদের কাছ থেকে তিনি চার হাজার টাকা করে আদায় করেন।

“ফ্লাইটের ৪৮ ঘণ্টা আগে রোগী বা যাত্রীকে না দেখেই তিনি তার প্যাডে প্রত্যয়পত্রে লিখে দিতেন ওই ব্যক্তিকে তার চেম্বারে দেখেছেন। তার মধ্যে কোভিড-১৯ এর কোনো লক্ষণ নেই।”

ডা. আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তিনি তার অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন জানিয়ে তিনি আরো জানান, তাকে চার মাসের জেল এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

সিলেট র‌্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামিউল আলম জানান, ডা. আলম বিদেশযাত্রীসহ কয়েকজনকে টাকার বিনিময়ে করোনার ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়েছেন বলে র‌্যাবের কাছে স্বীকার করেছেন। পরে তাকে নিয়ে তার চেম্বার মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেডে অভিযান চালানো হয়।

তিনি জানান, গত ১৪ জুলাই ডা. আলম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েও তার চেম্বারে নিয়মিত রোগী দেখতেন। পাশাপাশি তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার হিসেবে ভুয়া পদবী ব্যবহার করতেন।