রোববার বিকালে নাটোর শহরে এ ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করাও হয়েছে।
প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আব্বাছ আলী সদর উপজেলার রমিজ উদ্দিনের ছেলে।
এ ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করার কথা জানিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “বিনা চিকিৎসায় কোনো মানুষের মৃত্যু হবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। দোষীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঘটনার বিবরণ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা আব্বাছ আলীর ছেলে আসকান আলী জানান, তার বাবার কয়েক দিন থেকে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। রোববার সকালে তিনি তার বাবাকে নিয়ে শহরের সততা ক্লিনিকে যান। সেখানে চিকিৎসক একেএম আনিসুজ্জামান তাকে চিকিৎসা দেন।
তিনি জানান, এ অবস্থায় এক্স-রে করার সময় হঠাৎ তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। এ অবস্থায় তাকে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কাজি মো. রাসেল তাকে করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করতে চান। কিন্তু তারা জেনারেল ওয়ার্ডে রোগীকে ভর্তি করাতে চাইলে বাগবিতণ্ডা হয়। এরপর তার বাবাকে চিকিৎসক হাসপাতালে ভর্তি নেননি।
এ ঘটনার প্রতিবাদে তারা মুক্তিযোদ্ধা বাবার মৃতদেহ ক্লিনিকের সামনে রেখে আর্তনাদ শুরু করেন। দ্রুতই ঘটনাটি জানাজানি হলে কয়েকশ লোক সেখানে ভিড় করে। খবর পেয়ে নাটোর-২ আসনের সাংসদ শফিকুল ইসলাম, ডিসি মো.শাহরিয়াজ, সিভিল সার্জন কাজি মিজানুর রহমান ও সদর থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম সেখানে আসেন।
তবে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ অস্বীকার করে সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক আমিনুল ইসলামের দাবি করেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্বাস আলীকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তির পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু তার স্বজনরা সেখানে ভর্তি না করে অন্যত্র চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান।
সততা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মালিক আব্দুল আওয়াল রাজা বলেন, “শ্বাসকষ্ট থাকায় আমরা তাকে সাধ্যমত চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।”
জেলা সিভিল সার্জন ডা. কাজী মিজানুর রহমান বলেন, খবর পাওয়ার ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছি। হাসপাতালের আরএমও এবং কর্তব্যরত চিকিৎসকের সাখে কথা বলেছি। তদন্ত কমিটিও তাদের সাথে কথা বলবে। তদন্ত কমিটির সুপারিশ মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।