সুন্দরবনে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বনদস্যুর গোলাগুলি’, নিহত ৩

সুন্দরবনে টানা ৫৭ ঘণ্টার অভিযানে গোলাগুলিতে তিনজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

বাগেরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 June 2020, 12:31 PM
Updated : 28 June 2020, 12:31 PM

রোববার দুপুরে খুলনার খালিশপুরে র‌্যাব-৬ এর কার্যালয়ে এর মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রেস ব্রিফিং-এ তথ্য জানান।

নিহতদের আনুমানিক বয়স ২৪ থেকে ২৫ বছর। তবে তাদের পরিচয় জানাতে পারেনি র‌্যাব। তারা কোন বনদস্যু দলের সদস্য তাও জানানো হয়নি।

এ অভিযানে গহীন বনে তল্লাশি চালিয়ে পাঁচ বনদস্যুকে অস্ত্র, গুলি ও দেশি ধারালো অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র, ৩৩টি গুলি, ১৭টি গুলির খোসা এবং বিপুল পরিমাণ দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয় বলে র‌্যাব জানায়।

২০১৬ সালের ৩১ মে মাস্টার বাহিনীর প্রধান মাস্টারের আত্মসমর্পণের মধ্যে দিয়ে সুন্দরবন দস্যু মুক্ত করা শুরু হয়। এরপর একে একে সুন্দরবনের ৩২টি দস্যু বাহিনীর ৩২৮ জন সদস্য বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার অঙ্গীকার করে।

এ বিষয়ে র‌্যাবের মহাপরিচালকের বক্তব্য তুলে ধরে র‌্যাব-৬ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রওশনুল ফিরোজ জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করেন। তবে সম্প্রতি সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জে দস্যুদের তৎপরতা বৃদ্ধি পায় বলে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে।

এর প্রেক্ষিতে র‌্যাবের সদর দপ্তরের সহযোগিতায় অভিযানের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। গত ২৫ জুন সুন্দরবনের ১০ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ঘিরে ফেলে র‌্যাব-৬ এর সদস্যরা ‘কর্ডন এন্ড সার্চ কম্বিং’ অপারেশন নামের এক অভিযান চালায়।

এতে হেলিকপ্টার ও দ্রুতগামী আধুনিক নৌযান ব্যবহার করা হয়। গহীন সুন্দরবনে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে র‌্যাবের সদস্যরা ২৮ জুন সকাল ৭টা পর্যন্ত টানা ৫৭ ঘণ্টা অভিযান চালান বলে জানান তিনি।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল রওশনুল বলেন, এ অভিযানে গোলাগুলিতে তিনজন নিহত হয়েছে। বনের গহীনে তল্লাশি চালিয়ে পাঁচজন বনদস্যুকে অস্ত্র, গুলি ও দেশি ধারালো অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

এ সময় মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত দুই জেলে উদ্ধার করা হয় জানিয়ে পরে এ ঘটনার বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান এই র‌্যাব কর্মকর্তা।

এদিকে, রোববার বিকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে র‌্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ব্রিফিং-এ বলেছেন, “সুন্দরবনের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় যাতে নতুন কোনো দস্যু বাহিনী গড়ে উঠতে না পারে সেজন্য র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে।”