সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় সুরমা নদীর পানি ষোলঘর পয়েন্টে বিপদসীমার ৬৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ১৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
তিস্তা, ধরলা, ব্রহ্মপুত্রসহ উত্তরের অধিকাংশ নদীর পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। পানিবন্দি হয়েছে হাজার হাজার মানুষ।
শহরের ধোপাখালি এলাকার ব্যবসায়ী আমির হোসেন বলেন, “হটাৎ করেই শনিবার বিকালে আমার দোকানে পানি ঢুকে গেছে। ঘরের মেঝেতে রাখা চাল, ডাল, আলু সব পানিতে ভিজে গেছে। এমনিতেই করোনার দুর্ভোগে আছি, তার মধ্যে যোগ হয়েছে ঢলের পানি। আমাদের কষ্টের শেষ নেই।”
শহরের পশ্চিমবাজার এলাকার ব্যবসায়ী দিবাকর দাস বলেন, “আমার দোকানে রাতে হটাৎ করে পানি ঢুকে গেছে। ড্রেনে ময়লা জমে থাকার কারণে পানি নামছেও না। আমরা ব্যবসায়ীরা পড়েছি বিপাকে।”
সুনামগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র হোসেন আহমদ রাসেল বলেন, “শহরের পানি দ্রুত নিষ্কাশনের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পানি নিষ্কাশনের ড্রেনগুলো পরিষ্কার আছে কিনা তা দেখছি আমরা।”
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সবিবুর রহমান বলেন, ভারতের মেঘালয় ও চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত বেড়ে যাওয়ায় পাহাড়ি ঢলে সুরমার পানি বাড়ছে। বৃষ্টিপাত কমে গেছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।