সুরমা বইছে বিপদসীমার উপর, সুনামগঞ্জ শহরে পানি

পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতে সুরমা নদীর পানি বেড়ে সুনামগঞ্জ শহরের কয়েকটি এলাকায় পানি উঠে গেছে। 

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 June 2020, 04:29 PM
Updated : 27 June 2020, 04:29 PM

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় সুরমা নদীর পানি ষোলঘর পয়েন্টে বিপদসীমার ৬৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ১৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

তিস্তা, ধরলা, ব্রহ্মপুত্রসহ উত্তরের অধিকাংশ নদীর পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। পানিবন্দি হয়েছে হাজার হাজার মানুষ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলা শহরের নদী তীরবর্তী নবীনগর, ষোলঘর, কাজিরপয়েন্ট, উকিলপাড়া, উত্তর আরপিননগর, তেঘরিয়া, পশ্চিমবাজার এলাকায় জলাবদ্ধাতার সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে এসব এলাকার অনেক সড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন হচ্ছে। অনেক দোকনপাট এবং ঘরবাড়িতেও পানি ঢুকে গেছে।

শহরের ধোপাখালি এলাকার ব্যবসায়ী আমির হোসেন বলেন, “হটাৎ করেই শনিবার বিকালে আমার দোকানে পানি ঢুকে গেছে। ঘরের মেঝেতে রাখা চাল, ডাল, আলু সব পানিতে ভিজে গেছে। এমনিতেই করোনার দুর্ভোগে আছি, তার মধ্যে যোগ হয়েছে ঢলের পানি। আমাদের কষ্টের শেষ নেই।” 

শহরের তেঘরিয়ার আম্মার আহমেদ বলেন, “আমাদের এলাকাটি নদীর কাছেই অবস্থিত। পানি সড়ক উপছে মহল্লায় ঢুকে গেছে। আমাদের এলাকায় অনেক ঘরে পানি ঢুকে গেছে।” 

শহরের পশ্চিমবাজার এলাকার ব্যবসায়ী দিবাকর দাস বলেন, “আমার দোকানে রাতে হটাৎ করে পানি ঢুকে গেছে। ড্রেনে ময়লা জমে থাকার কারণে পানি নামছেও না। আমরা ব্যবসায়ীরা পড়েছি বিপাকে।”

হাসনগর এলাকার রফিকুল ইসলাম কালা মিয়া বলেন, “হটাৎ পানি আইস্যা আমার দুইটা পুকুরের সব মাছ ভাইস্যা গেছে। আমি পথে ভইস্যা গেছি। কয়েক লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে আমার।”

সুনামগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র হোসেন আহমদ রাসেল বলেন, “শহরের পানি দ্রুত নিষ্কাশনের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পানি নিষ্কাশনের ড্রেনগুলো পরিষ্কার আছে কিনা তা দেখছি আমরা।”   

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সবিবুর রহমান বলেন, ভারতের মেঘালয় ও চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত বেড়ে যাওয়ায় পাহাড়ি ঢলে সুরমার পানি বাড়ছে। বৃষ্টিপাত কমে গেছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।