কুড়িগ্রামে বন্যা, ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি

কুড়িগ্রামে ধরলা-ব্রহ্মপুত্র বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্লাবিত হয়েছে দুই শতাধিক চর ও দ্বীপচরের নিম্নাঞ্চল। এসব এলাকায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। নিমজ্জিত হয়েছে ফসল ও গ্রামীণ সড়ক।

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 June 2020, 08:33 AM
Updated : 26 June 2020, 08:33 AM

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, অবিরাম বৃষ্টি আর উজান থেকে আসা ঢলে শুক্রবার বেলা ১২টায় সেতু পয়েন্টে ধরলা নদী বিপৎসীমার আট সেন্টিমিটার এবং চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র চার সেন্টিমিটার ওপরদিয়ে প্রবাহিত হয়।

এছাড়া তিস্তা কাউনিয়া পয়েন্টে ৩৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে আর  ব্রহ্মপুত্র নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার সাত সেন্টিমিটার চিচ দিয়ে প্রবাহিত হয় বলে তিনি জানান।

প্রকৌশলী বলেন, পানি যে হারে বাড়ছে তাতে সন্ধ্যার মধ্যে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। কুড়িগ্রাম শহর রক্ষা বাঁধ সম্প্রতি সংস্কার করায় এবার ধরলার পানি শহরে আসতে পারবে না। তবে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমারসহ ১৬টি নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকায় দুই শতাধিক চর ও দ্বীপচরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় নিমজ্জিত হয়েছে ফসল ও গ্রামীণ সড়ক। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ।

পানি বেড়ে যাওয়ায় নদীতীর ভাঙনের মাত্রা কিছুটা কমেছে জানিয়ে তিনি বলেন, এছাড়া কিছু ভাঙনকবলিত এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে কাজ চলছে।

চরাঞ্চলের নিচু এলাকাগুলোয় বাড়িঘরে পানি ঢুকতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক মোস্তাফিজার রহমান।

তিনি বলেন, সেসব এলাকায় তলিয়ে গেছে পাট, ভুট্টা, সবজি, তিল, আউশ ধান ও কাউনের ক্ষেত।

বন্যা মোকাবিলার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় ভাঙনে পড়া পরিবারগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।