বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাবান্ধায় অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন জানান।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে গত ২৫ মার্চ এই বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়।
সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, স্বাস্থ্যবিধিসহ ১১ দফা শর্ত মেনে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য চালুর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শর্ত মানতে না পারলে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
“এই ১১ দফা শর্তে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বিদেশি গাড়ি চালকরা গাড়ি থেকে নামতে পারবে না। তাদের জন্য থাকতে হবে পৃথক শৌচাগারের ব্যবস্থা। তবে নির্ধারিত সময়ের বাইরে কোনোভাবেই তারা বাংলাদেশে অবস্থান বা রাতযাপন করতে পারবে না।”
আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা বলেন, এই স্থলবন্দর দিয়ে ভারত, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে বাণিজ্য চলে। এজন্য প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে এ বন্দরের সঙ্গে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের রুটি-রুজির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
“দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় এসব মানুষ নানাভাবে যেমন বিপাকে ছিলেন, তেমনি সরকারি রাজস্ব যোগানেও ঘাটতি পড়ে। প্রশাসন সবকিছু বিবেচনা করে বন্দর চালুর যথাযথ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জীবন ও জীবিকার স্বার্থেই আমরা সব নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।”
দুপুরে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে এ সভায় জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন সভাপতিত্ব করেন।
অন্যদের মধ্যে সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আনিসুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট, পঞ্চগড় চেম্বারের সভাপতি শরীফ হোসেন ও আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।