বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার দরিচর খাজুরিয়া ইউনিয়নের এ ঘটানয় মঙ্গলবার এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়। আদেশে স্বাক্ষর করেন ওই মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী।
সাময়িক বরখাস্ত জনপ্রতিনিধিরা হলেন, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার দরিচর খাজুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা রাড়ী ও মেম্বার শহীদ দেওয়ান।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বরিশালের ডিসি অজিয়র রহমান জানান, জেলা প্রশাসনের তদন্তে ওই চেয়ারম্যান ও মেম্বার ক্ষমতার অপব্যবহার করে মধ্য খাজুরিয়া দাখিল মাদ্রাসার নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটন শহিদুল ইসলাম আলাউদ্দিনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার এবং ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির সত্যতা পাওয়া গেছে।
এতে মন্ত্রণালয়ে চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে সাময়িক বরখাস্তের জন্য সুপারিশ করার প্রেক্ষিতে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানান ডিসি।
গত ৩ জুন উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে শহিদুলকে জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তা করার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
ঘটনার পর দিন বৃহস্পতিবার দুপুরে ৯ জনকে আসামি করে মেহেন্দিগঞ্জ থানায় মামলা করেন শহিদুল। বিকালে চেয়ারম্যান মোস্তফা রাড়ীসহ ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন তারা।
“দীর্ঘ দিন ব্যবহার না করায় নম্বরটি বন্ধ হয়ে যায়। এরই মধ্যে ওই ছাত্রীর এক বছরের উপবৃত্তির ১৮শ’ টাকা বন্ধ মোবাইল নম্বরে জমা হয়। কিছু দিন আগে বন্ধ নম্বরটি সচল করে উপবৃত্তির টাকা দেখতে পান তিনি। ওই টাকা ছাত্রীর পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়ার আগেই গেল ৩০ মে তাকে মারধর করে সিম কার্ডটি নিয়ে যায় ছাত্রীর খালু সাবেক ইউপি মেম্বার সত্তার সিকদার।”
এ সময় তার ছেলেকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ শহিদুল ইসলাম আলাউদ্দিনের।
“বুধবার দুপুরে তাকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন তার উপর নির্যাতন চালায় এবং তারা গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেয়।”
গ্রেপ্তার হওয়ার আগে দরিচর খাজুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা রাড়ী জানিয়েছিলেন, “আলাউদ্দিন হুজুর উপবৃত্তির ৪৮শ’ টাকা আত্মসাৎ করেছে। এ বিষয়ে সালিশে তাকে টাকা ফেরত দিতে বলা হয়। না দিতে পারলে জুতার মালা পরানোর সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় স্বেচ্ছায় জুতার মালা পরতে রাজি হয় আলাউদ্দিন।“