বৃদ্ধকে বিবস্ত্র করে মারধর: যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

কক্সবাজারের চকরিয়ায় ৭২ বছরের বৃদ্ধকে বিবস্ত্র করে মারধর করার ঘটনায় এক যুবলীগ নেতাসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 June 2020, 12:08 PM
Updated : 3 June 2020, 12:08 PM

এছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে চকরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এ কে এম শফিকুল আলম চৌধুরী জানিয়েছেন।

গত ২৪ মে ঢেমুশিয়া স্টেশন থেকে ঈদের কেনাকাটা শেষে বাড়ি ফেরার পথে গাড়ি থেকে নামিয়ে নিয়ে নূরুল আলম (৭২) নামে এক ব্যক্তিকে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়। ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আনছুর আলম (৩৫) মারধর করছেন এমন একটি ভিডিও মঙ্গলবার ফেইসবুকে ভাইরাল হয়।

নূরুল আলম ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের ছয়কুড়িটিক্কা পাড়ার বাসিন্দা।

ভিডিওতে দেখা গেছে, মারধরের সময় বৃদ্ধের পরনের লুঙ্গি ও গেঞ্জি টেনে ছিঁড়ে ফেলার পাশাপাশি অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করছেন আনছুর আললম।

পরিদর্শক শফিকুল বলেন, এ ঘটনায় বৃদ্ধের ছেলে আশরাফ হোসাইন গত ৩১ মে থানায় একটি এজাহার দেন। এতে আটজনের নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি অজ্ঞাত আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়। এজাহার তদন্তের পর বুধবার সকালে সেটি মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করা হয়েছে।

এ ঘটনায় মোহাম্মদ বেলাল, কায়ছার উদ্দিন ও মোহাম্মদ ফারুক নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

তবে মামলার প্রধান আসামি যুবলীগ নেতা আনছুর আলম ও এজাহারভুক্ত কোনো আসামিকে পুলিশ এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন যুবলীগ নেতা আনছুর আলম, ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য আরেজ খাতুন, ইউনিয়নের ছয়কুড়িটিক্কা পাড়ার মনির উল্লাহর ছেলে বদিউল আলম (৫৫), বদিউলের ছেলে মিজানুর রহমান (২৮), একই এলাকার আব্দুল জব্বারের দুই ছেলে রিয়াজ উদ্দিন (৩২), জয়নাল আবেদীন (৩০), মঞ্জুর আলমের ছেলে মোহাম্মদ রুবেল (২৮) ও মো. শাহ আলম (৫২) নামে এক ব্যক্তি।

পরিদর্শক শফিকুল বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

মামলার পর আনছুর আলমকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কাউছার উদ্দিন কছির।