রোববার জেলা সিভিল সার্জন মোমিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
একই সঙ্গে নোয়াখালীর প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র চৌমুহনী বাজারের দোকানপাট এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
সিভিল সার্জন মোমিনুর রহমান জানান, গত ২৮ ও ২৯ মে আক্রান্তদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজে ও নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে পাঠানো হয়। ৩১ মে হাতে পাওয়া রিপোর্টে তাদের করোনাভাইরাস পজিটিভিআসে।
“আক্রান্তদের মধ্যে ৩৮ জন পুলিশ সদস্যসহ ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪৬ জন মাইজদী শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে স্থাপিত অস্থায়ী করোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ৫৬৫ জন বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।”
তিনি জানান, বয়স্ক এক ব্যক্তিকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে, যিনি বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪১ জন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১২ জন।
জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বলেন, জেলার ৩৮ জন পুলিশ সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পুলিশ ফাঁড়ি ও জেলা সদরের সোনাপুর পুলিশ ফাঁড়ি দুটি ‘লকডাউন’ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় নোয়াখালীর প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র চৌমুহনী বাজারে আগামী ৭ জুন পর্যন্ত সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।