শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় মিরপুর উপজেলার কাকিলাদহ পুলিশ ফাঁড়ি অবরুদ্ধ করা হয় বলে কাকিলাদহ পুলিশ ক্যাম্পের এসআই আতিকুর রহমান জানান।
তিনি বলেন, আক্রান্ত ওই পুলিশ সদস্যের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলায়। তিনি পুলিশ ফাঁড়িতেই ছিলেন; জেলার বাইরে যাননি। স্থানীয়ভাবেই তিনি সংক্রমিত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”
মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, গত ২৬ মে ঠান্ডা-জ্বরসহ করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ওই পুলিশ সদস্য মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। তিনি কুষ্টিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে টেস্ট করে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এখানে ভর্তি হন।
“যেহেতেু তার করোনাভাইরাসের উপসর্গ ছিল, তাই আমরা গত ২৭ মে তার নমুনা সংগ্রহ করে কুষ্টিয়া মেডিকেলের পিসিআর ল্যাবে পাঠাই। শুক্রবার নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে তার করোনাভাইরাস পজেটিভ শনাক্ত হয়।”
তিনি বর্তমানে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন বলে জানান রাশেদ।
মিরপুর থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, ওই পুলিশ সদস্য স্থানীয় ভাবেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাই পুরো পুলিশ ফাঁড়িকে লকডাউন করা হয়েছে।
এদিকে কুষ্টিয়া জেলায় শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫৭ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান।
আক্রান্তদের মধ্যে ৪৩ জন পুরুষ ও ১৪ জন নারী রয়েছেন। এদের মধ্যে বর্তমানে ৩৩ জন হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।