কোভিড-১৯: বান্দরবানে সেনাবাহিনীর ‘এক মিনিটের ঈদ বাজার’

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে বান্দরবানে ‘এক মিনিটের ঈদ বাজার’ বসিয়ে কর্মহীন অসহায় ও দুস্থদের সহায়তায় ঈদের উপহার দিয়েছে সেনাবাহিনী।

বান্দরবান প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 May 2020, 03:47 PM
Updated : 22 May 2020, 03:47 PM

শুক্রবার সকালে বান্দরবান শহরে জেলা স্টেডিয়ামে এ আয়োজন করা হয়।

নামে ‘ঈদ বাজার’ হলেও এখান থেকে কর্মহীন মানুষরা বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে গেছেন। 

বান্দরবান সেনা রিজিয়নের জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আক্তার উস সামাদ রাফি সাংবাদিকদের বলেন, “এক মিনিটের ঈদ বাজার-কর্মসূচির আওতায় পৌর এলাকার মোট ২৫০ জন রয়েছেন। অসহায়, গরীব ও দুস্থ মানুষরাই এ সুবিধা পাচ্ছেন।”

স্টেডিয়ামের প্রবেশ মুখে শারীরিক সুরক্ষার জন্য হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়। এরপর প্রত্যেককে অস্থায়ীভাবে তৈরি করা জীবাণুনাশক টানেলের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করতে হয় স্টেডিয়ামে।

একটি করে শাড়ি ও লুঙ্গিসহ মোট ১১টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী চারটি স্থানে সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখা হয়। একটি টেবিলে রাখা আছে একটি করে পণ্যসামগ্রী। পরে একে একে সবাই প্রবেশ করে এসব সামগ্রী নিয়ে যান।

পৌর এলাকার ইসলামপুরের বাসিন্দা মো. ওসমান বলেন, “করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর থেকে আয়-রোজগার বন্ধ। ঈদে বেড়ানো না হলেও এসব পণ্যসামগ্রী পেয়ে কয়েক দিন ভালো চলতে পারব।”

হাফেজঘোনার বাসিন্দা হুমায়রা বেগম ও সেনোওয়ারা বেগম বলেন, দিন মজুর করে টানাপোড়েনে সংসার চলে। এখন মাঝে মাঝে কাজ পান তারা; কখনও বা পান না। ঈদে বাচ্চাদের নিয়ে খেতে পারবেন।

তালিকাভুক্তদের মধ্যে পণ্যসামগ্রী নিতে এসেছেন গীতারানী দাশ ও স্বপ্না নাথ।

তারা বলেন, এখানে এসে অনেক জিনিস পেয়েছেন। বাজারে কিনতে গেলে অনেক টাকা খরচ করতে হতো, যা তাদের সামর্থ্যের বাইরে।

জাদিপাড়ার বাসিন্দা উথোয়াই মং মারমা ও মানুপ্রু মারমা বলেন, “একসাথে এতোগুলো জিনিস পাওয়া যাবে কল্পনা করিনি। ছোট সংসারে কয়েক দিন ভালো খেতে পারব।”

পণ্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল ৫ কেজি, ১ কেজি করে ডাল, লবণ, পেঁয়াজ ও চিনি, সয়াবিন তেল ১ লিটার, সুজি, আটা ও নুডলস ১ প্যাকেট করে এবং লুঙ্গি ও শাড়ি একটি করে।

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে দুর্গম এলাকার গরীব ও অসহায় মানুষদের একই রকম সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে জানান জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আক্তার উম সামাদ রাফি।

এ সময় সেনা রিজিয়নের জি-টু আই মেজর মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।