রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নবাবগঞ্জ থানার এসআই মো. লিয়াকত আলী জানান, এ ঘটনায় আহতদের বাবা আ. রাজ্জাক (৬৩) বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
আহতরা হলেন- উপজেলার দড়িকান্দা গ্রামের আ. রাজ্জাকের ছোট ছেলে মিলন (২১) ও রিমু আক্তার (১৬)।
বাদী রাজ্জাক অভিযোগে উল্লেখ করেন, তার প্রতিবেশী এছাক গাজীর ছেলে আমিন উদ্দিন (২২) ও রাজিব (২০), এছাক গাজীর স্ত্রী আমেনা বেগম (৪০), আব্দুল্লাহ গাজীর ছেলে লালমুদ্দিন গাজী ওরফে আজিজ (৫৫), তার ছেলে শামীম (৩০) ও মাসুদের (২২) সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছে।
“এর ধারাবাহিকতায় গত ১১ মে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপরোক্ত তারা আরও ২/৩ জন আমার ছোট ছেলেকে আমার ছোট ভাই আ. কাদিরের বাড়ির উঠানে একা পেয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। আমার ছেলে তাদের গালাগালের প্রতিবাদ জানালে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে রামদা, চাপাতি ও লোহার রড দিয়ে আমার ছেলেকে এলাপাথাড়ি আঘাত করে গুরুতর জখম করে। ধাঁরালো অস্ত্রের আঘাতে আমার ছেলের বাম হাতের কুনইয়ের নিচে বেশ অংশ কেটে গেছে।”
খবর পেয়ে তিনি, তার মেজো ছেলে হালিম (২৫) ও মেয়ে রিমু ছেলেকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে বিবাদীরা তাদেরকেও ‘এলোপাথাড়ি মারপিট করে আহত করে।’
“তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আমার মেয়ের ডান গালে কোপ লেগে কেটে গেছে।”
তিনি, হালিম ও রিমু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “মিলনের জখম গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকার শ্যামলী হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানো হচ্ছে।”
নবাবগঞ্জ থানার এসআই লিয়াকত আলী জানান, তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযোগের ভিত্তিতে কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে এ বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি এ পুলিশ কর্মকর্তা।