সোমবার বিকালে বগুড়া পৌরসভার মেয়র একেএম মাহবুবর রহমানের বাসায় এ হামলার ঘটনায় মেয়র একেএম মাহবুবর রহমান সদর থানায় ‘এজাহার দায়ের করেছেন’ এবং জেলা প্রশাসকে অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
তবে বগুড়া সদর থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান বলেন, “মেয়র সাহেব আমাকে ফোনে জানিয়েছেন। আমি বাইরে থাকায় এজাহারের কপি এখনও পাইনি।”
পৌর মেয়র মাহবুবের অভিযোগ করেন, চলমান করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীনদের জন্য জেলা প্রশাসকের বরাদ্দকৃত চাল ও নগদ অর্থে কেনা আলু পৌরসভার ২১টি ওয়ার্ডে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
“যেহেতু আমার কাছে ও মহিলা কাউন্সিলরদের কাছে জনগণ আসেন তাই জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে আরো কিছু ত্রাণ সহায়তা বরাদ্দ নেওয়া হয়।
“কিন্তু কিছু কাউন্সিলর এ ত্রাণের ভাগ নিতে আমাকে চাপ দিচ্ছেন। এক পর্যায়ে সোমবার সকাল ১১টায় পৌরসভা অফিসে আমাকে খোঁজাখুঁজি করেন। আমি তখন বাসায় ছিলাম।
“এরপর বিকাল ৩টায় আসার জলেশ্বরীতলার বাসায় প্রবেশ করে নিচতলায় গেটের নিরাপত্তাকর্মীসহ দুজনকে মারপিট করে গেট খুলে দিতে বাধ্য করেন।”
তিনি অভিযোগে আরো বলেন, “এরপর উপর তলায় আমার ফ্লাটে প্রবেশের চেষ্টা করে দরজায় লাথি মারে। দরজা খুললে হয়ত আমাকে মেরে ফেলত। তারা দরজা ভাঙার চেষ্টা করে।”
এ খবর পেয়ে তার বাসায় সদর থানার পুলিশ যায়।
তিনি বলেন, “সদর থানা ও জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দিয়েছি।”
বর্তমানে তিনি করোনাভাইরাস সতর্কতায় সেলফ কোরারেন্টিনে আছেন। সেকারণে বাসা থেকেই পৌরসভার জরুরি কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, মেয়র বাদী হয়ে এ ঘটনায় ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আরিফুর রহমান আরিফসহ কয়েকজন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে সদর থানায় এজাহার দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন। তবে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এজাহার রেকর্ড করেনি পুলিশ।