ঈশ্বরদী থানার ওসি বাহাউদ্দীন ফারুকী জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাত ৯টার দিকে তারা মারা যান।
তারা হলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র মোকলেছুর রহমান বাবলুর ছেলে ওহেদুর রহমান সজল (২৮) ও সজলের বন্ধু রাজু (৩২)। রাজু ঈশ্বরদীর ফতে মোহাম্মদপুর এলাকার সামুর ছেলে।
পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কামাল আশরাফি এলাকাবাসী বরাতে জানিয়েছেন, শনিবার রাতে ঈশ্বরদী রেলওয়ের সরকারি নাজিমউদ্দিন উচ্চবিদ্যালয় এলাকার একটি হোমিও ওষুধের দোকান থেকে দুই বন্ধু স্পিরিট কিনেছিলেন।
রাতে তারা অসুস্থ হলে রোববার সকালে প্রথমে তাদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে চিকিৎসকের পরামর্শে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে রাত ৯টার দিকে তারা মারা যান।
ওসি বাহাউদ্দীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “করোনাভাইরাসের পাদুর্ভাবে ঈশ্বরদীতে অ্যালকোহলের সংকট দেখা দেওয়ায় তারা স্পিরিট পান করেছেন বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। স্পিরিটের সঙ্গে বিষাক্ত কিছু থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
তবে স্পিরিট পানের কথা অস্বীকার করেছেন সজলের ছোট ভাই মাহাদী রহমান শাহারাত।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “শনিবার রাতে সজলের পেটে হঠাৎ গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়। রোববার সকালে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। আমার ভাই স্পিরিট খায়নি।”
স্পিরিট বিক্রি সম্পর্কে ওসি বাহাউদ্দীন বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ স্পিরিট বিক্রেতা শ্যামল ওরফে হায়দরের বাসায় অভিযান চালিয়েছে। তবে তাকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। শ্যাশল পলাতক রয়েছেন।
এ ঘটনায় এখনও থানায় কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি। মরদেহ রাজশাহীতে ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার ঈশ্বরদীতে আনা হবে বলে পরিবারের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে।