শনিবার রাত ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে জানান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক সাইফুল ফেরদৌস।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, আনুমানিক ২২ বছর বয়সী এই যুবক নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার বাসিন্দা। তিনি ঢাকায় একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করতেন।
সাইফুল ফেরদৌস বলেন, “শনিবার বিকাল ৩টার দিকে এই যুবক হাসপাতালে ভর্তি হন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার তার উপসর্গ ছিল না। বেশি দিন জ্বর থাকায় ব্রেন ইনফেকশনের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
মৃত যুবকের বাবা সাংবাদিকদের বলেন, শুক্রবার গভীর রাতে জ্বর আর সর্দি-কাশি নিয়ে ঢাকা থেকে নওগাঁ আসেন তার ছেলে। শনিবার সকালে বাড়ি যাওয়ার সময় করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে স্থানীয় মেম্বারসহ গ্রামের লোকজন তাকে বাড়ি যেতে দেননি। বাধ্য হয়ে টেম্পু স্ট্যান্ড থেকে চিকিৎসার জন্য আদমদীঘি হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা।
তার বাবা আরও বলেন, আদমদীঘি হাসপাতালে তার চিকিৎসা না করেই ফিরিয়ে দেন চিকিৎসকরা। এরপর আবার ছেলেকে নিয়ে স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়ে যান। এরই মধ্যে স্থানীয়রা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তার সহযোগিতায় প্রথমে রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
“সেখানে চিকিৎসকরা দেখে হাতে একটি কাগজ দিয়ে নওগাঁ সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠান।”
তিনি আরও বলেন, নওগাঁ হাসপাতালে পৌঁছার পর সেখান থেকে রাজশাহী নিয়ে যেতে বলেন। তারও আরেকটি কাগজ দেন। এরপর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি ছেলেকে।
“বিকাল ৩টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু ছেলের জ্বর কোনোভাবেই কমছিল না। রাত ৮টার দিকে সে মারা যায়।”
নওগাঁর সিভিল সার্জন আ. ম. আখতারুজ্জামান বলেন, “ওই যুবকের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ ছিল। যেহেতু নওগাঁ সদর আধুনিক হাসপাতালে করোনাভাইরাস পরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই সেহেতু আমরা তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাই।”