সংক্রমণ ঝুঁকি নিয়ে পারাপারে হাজারো মানুষ শিমুলিয়ায়

সরকারের ছুটি ঘোষণার পর বাড়ি যাওয়ার হুড়োহুড়িতে বিপুল যানবাহনের সমাবেশে করোনাভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকিতে পড়েছেন মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘটে পারাপারে আসা হাজারো যাত্রী।

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 March 2020, 02:07 PM
Updated : 24 March 2020, 02:28 PM

মঙ্গলবার সকাল থেকে এই ঘাট দিয়ে লঞ্চ, স্পিডবোট ও ফেরিতে গাদাগাদি করে যাত্রী পারপার হতে দেখা যায়।

মঙ্গলবার বিকালে শিমুলিয়া ঘাটে দেখা যায়, হাজার হাজার যাত্রী নদী পারাপরের অপেক্ষায় রয়েছে। লোকজন লঞ্চ, সি-বোট না পেয়ে ঘাটে দাঁড়িয়ে থাকা ফেরিগুলোতে উঠে গাদাগাদি করে অপেক্ষা করছে নদী পার হওয়ার জন্য। অনেক লোক একসাথে গাদাগাদি করে বিকল্প হিসেবে ট্রলার ভাড়া করেও পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটে দায়িত্বরত এজিএম শফিকুল ইসলাম বিকালে জানান, ঘাটে জনগণের প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। ফেরি সীমিত আকারে এখনও সচল রাখা হয়েছে। যেকোনো সময় ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তবে লাশ, ঔষধ, অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি গাড়ি পারাপারের জন্য দুয়েকটি ফেরি সচল রাখা হবে।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাবিরুল ইসলাম খান বলেন, “ঘাটের অবস্থা খুবই খারাপ। আমরা এমনটির জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে লোকজন ঘরে না থেকে এভাবে গ্রামমুখী হবে তা আমরা ভাবতেও পারিনি। লৌহজংয়ে এরই মধ্যে অন্তত ১০ হাজার মানুষ গ্রামে এসেছে। রাতের মধ্যে এর সংখ্যা আরও বাড়বে।”
তিনি বলেন, এদের মধ্যে যে আরও ১০ জন আক্রান্ত থাকতে পারে তার সম্ভবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এক সাথে এত লোক গাদাগাদি করে পারাপার হওয়ায় এখন থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আক্কাস আলী জানান, ঘাটে মানুষের চাপে ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোট কিছু কিছু চলাচল করছে।