শুক্রবার বিকাল থেকে গোয়ালন্দ উপজেলার এই যৌনপল্লীতে লোকজনের যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আশিকুর রহমান বলেন, দৌলতদিয়ার এ যৌনপল্লীতে জায়গা কম, ঘিঞ্জি পরিবেশ এবং দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অসংখ্য মানুষ যাতায়াতে করে থাকে।
এতে সংক্রমণ ঝুঁকি থাকায় রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানের পরামর্শে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে ওসি আশিকুর রহমান জানান।
“এখানে প্রায় ১২শ যৌনকর্মী ছাড়াও বাড়িওয়ালী, মাসী ও ৩ শতাধিক কর্মী রয়েছেন।”
তিনি জানান, মানবিক কারণে এ সময়ে যৌনকর্মীদের খাদ্য সহায়তা হিসেবে প্রাথমিক পর্যায়ে আগামী ১৫ দিনের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ২০ কেজি করে চাল দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
এছাড়া বাড়ীওয়ালাদেরকে বন্ধকালীন সময়ে যৌনকর্মীদের কাছ থেকে ঘরভাড়া না নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে এ পল্লীর ছয়টি প্রবেশ পথের মধ্যে পাঁচটি পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যৌনপল্লীতে যাতে আগামী ১৫দিন কেউ ঢুকতে না পারে সেজন্য পুলিশি পাহারা জোরদার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওসি।
এদিকে, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম জানিয়েছেন, জেলা শহরের কান্দাপাড়ার যৌনপল্লী শুক্রবার থেকে ৩১ মার্চ বন্ধ করা হয়েছে এবং আপদকালের জন্য প্রত্যেক যৌনকর্মীকে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বে মহামারী আকালে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণ শঙ্কার এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় যৌনপল্লী বন্ধের এ সিদ্ধান্তকে সময় উপযোগী বলছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে এর মধ্যে একজন মারা গেছেন। আক্রান্তদের মধ্যে একজনের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন বলেও জানানো হয়েছে।