ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নতুন কূপ থেকে পরীক্ষামূলক গ্যাস উত্তোলন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নতুন একটি গ্যাস কূপ থেকে পরীক্ষামূলক উত্তোলন শুরু করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 March 2020, 05:32 PM
Updated : 4 March 2020, 05:47 PM

নবীনগর উপজেলার লাউর ফতেহপুর ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের নতুন এ কূপ কুমিল্লার শ্রীকাইল গ্যাস ফিল্ডে অন্তর্ভুক্ত।

বাপেক্সের মহাব্যবস্থাপক (ভূ-তত্ত্ব) মো. আলমগীর হোসেন জানান, মাটির নিচে প্রায় তিন হাজার ৮০ মিটার গভীরে গ্যাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

“গ্যাসের রিজার্ভ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। ”

খনন অধিকর্তা মহসিনুল আলম জানান, প্রাথমিকভাবে কূপটিতে গ্যাসের ভালো চাপ পাওয়া যাচ্ছে।

চলতি চাপের হিসেবে দিনে ১০ থেকে ১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যেতে পারে বলে অনুমান করছেন তিনি।

২০১৭ ও ১৮ সালে ওই এলাকায় ত্রি-মাত্রিক ভূতাত্ত্বিক জরিপ পরিচালনা করে গ্যাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর গ্যাসের অস্তিত্ব পেয়ে সেখানে খনন শুরু করে বাপেক্স।

গত ৩১ জানুয়ারি খনন শেষে বিভিন্ন ধরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়। গত মঙ্গলবার রাতে বাপেক্স  গ্যাসের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়।

তবে বাপেক্সের ডিজিএম (টেকনিক্যাল) মোজাম্মেল হক সরকার বলেন, প্রাথমিকভাবে কূপে গ্যাসের চাপ ভালো হলেও দৈনিক কত ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে তা এখনও নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না।

এটা জানতে আরো কয়েক দিন অপেক্ষা করা লাগবে বলে জানান বাপেক্সের এ প্রকৌশলী।

বাপেক্সের ডিএস (অপারেশন)  নজরুল ইসলাম জানান, কূপ থেকে গ্যাস পাইপলাইনের মাধ্যমে ১০ কিলোমিটার দূরের শ্রীকাইলে কমপ্রেসার স্টেশনে নিতে হবে। সেজন্যে ১০ কিলোমিটার পাইপলাইন বসাতে হবে। সেখানে পরিশোধনের পর পাইপ লাইনে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা যাবে গ্যাস।

আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর প্রসেস প্লান্টে প্রক্রিয়াজাত করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে এ গ্যাস।