তবে মন্ত্রী রেজাউল সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান জামিন আবেদন নাকচ করে আউয়ালকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও আইনজীবীরা বিক্ষোভ দেখান।
বিক্ষোভের মধ্যে বিচারক মো. আব্দুল মান্নানের বদলির আদেশ আসে। তিনি তার দায়িত্ব দ্বিতীয় যুগ্ম জেলা জজ নাহিদ নাসরিনকে হস্তান্তর করেন। পরে আসামিপক্ষ আগের আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করলে ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ নাহিদ নাসরিন আবেদন মঞ্জুর করেন। আউয়াল জামিন পান।
বুধবার বেলা ১২টায় পিরোজপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি আউয়াল জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, “মঙ্গলবার দুদকের মামলায় আমার জামিন নামঞ্জুর করতে বিচারক মো. আব্দুল মান্নানকে প্রভাবিত করেছেন মৎস্য ও পশুসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
“তাছাড়া মন্ত্রী তার প্রভাব খাটিয়ে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করে নতুন ও জামায়াত-বিএনপিতে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের বিভিন্ন স্থানে মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত করেছেন। মন্ত্রী তার ভাইদের অনৈতিকভাবে কয়েক শত কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ বাগিয়ে দিয়েছেন। আলোচিত জি কে শামীমের কাছ থেকে তিনটি গাড়ি উপঢৌকন হিসেবে নিয়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ দিয়েছেন।”
মন্ত্রী রেজাউল মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগ নেতা আউয়াল।
তিনি বলেন, “মন্ত্রী রেজাউল ১৯৬১ সালে জন্মগ্রহণ করেছেন। সেই হিসাবে ১৯৭১ সালে তার বয়স নয় বছর। একজন বাচ্চা কীভাবে সে সময় মুক্তিযুদ্ধে যায়? মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এহেন মিথ্যাচার ও নিজেকে স্বঘোষিত মুক্তিযোদ্ধা দাবি করা সঠিক নয়। এর জন্য তার জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।”
মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সংবাদ সম্মেলনে আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সর্বৈবভাবে অসত্য ও মিথ্যাচার।”