কুষ্টিয়ায় শাহিনা খুনের কারণ যা বললেন আসামিরা

কুষ্টিয়ার মিরপুরে গৃহবধূ শাহিনা খাতুন খুনে জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ বলছে, হত্যার কারণ জানতে পেরেছেন তারা।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Feb 2020, 11:48 AM
Updated : 22 Feb 2020, 11:48 AM

শনিবার কুষ্টিয়া অতিরিক্ত চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় খুনের দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দেন প্রধান আসামি সেলিম হোসেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মিরপুর থানার ওসি আবুল কালাম জানান, জামিন আবেদনের শুনানি শেষে চার আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- প্রধান আসামি মিরপুর উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের সেলিম হোসেন (৩৫), ওই গ্রামের হান্নান শেখের ছেলে শিহাব আলী (৩৮), রহমত মন্ডলের ছেলে শাহানুর ইসলাম ওরফে বুড়ো (৩২) এবং আব্দুল মালেকের ছেলে ময়নাল (২৮)।

গত পহেলা ডিসেম্বর হাত-পা, মুখ বাঁধা ও গলায় ওড়না জড়ানো অবস্থায় অজ্ঞাত এক নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডে জেলার মিরপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করে পুলিশ। পরে জানা যায়, নিহত এ নারী ঝিনাইদহ শৈলকুপা উপজেলার লাঙ্গলবাধ গ্রামের মহব্বুল মন্ডলের স্ত্রী শাহিনা খাতুন (৩০)।

হত্যাকাণ্ডের উদ্ঘাটিত বিবরণ তুলে ধরে মিরপুর থানার ওসি আবুল কালাম জানান, গত ৩০ নভেম্বর দুপুরে পূর্ব পরিচয় সূত্রে আসামি সেলিম মোবাইল ফোনে শাহিনাকে ডেকে আনে নয়নপুর ক্যানাল পাড়ায়।

“সন্ধ্যায় তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ক্যানাল পাড়ার নির্জন স্থানে নিয়ে চারজন রাতভর ধর্ষণ করে।

“পরদিন ভোররাতে শাহিনাকে মেহেরপুরগামী একটি বাসে তুলে দিতে গেলে সেখানে শাহিনা চেচামেচি শুরু করেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আসামিরা শাহিনার মুখচেপে ধরে রাস্তা থেকে টেনে-হিচড়ে জনৈক লুৎফর রহমানের পারিবারিক কবরস্থানে নিয়ে যান।

“সেখানে শাহিনার হাত,পা ও মুখ বেঁধে গলায় ওড়না জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যান আসামিরা।”

ওসি জানান, সোর্স দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সন্দেহজনকভাবে সেলিমের মোবাইল ট্র্যাক করা হয়। গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার আশুলিয়া থেকে সেলিমকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এ সময় সেলিম হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।

তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ ঘটনায় জড়িত শিহাব, শাহানুর ও ময়নাল নামে আরও তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার কারণ বেরিয়ে আসে বলে জানান ওসি আবুল কালাম।