বাসন থানার ওসি একেএম কাউসার চৌধুরী জানান, রওশন সড়ক এলাকার এ ঘটনায় সোমবার রাতে মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামি ধরার চেষ্টা করছে।
ওই নারীর ছোট ভাই বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার ৩২ বছর বয়সী এই বোন সম্প্রতি ডিভোর্সের পর থেকে শিশুমেয়েকে নিয়ে তাদের সঙ্গে থাকেন। স্থানীয় আশার আলো নামে একটি এনজিওর পরিচালক ইমরান হোসেন ওরফে আনোয়ার (৪৫) তার বোনকে চাকরি দিতে চেয়েছিলেন।
“রোববার এক নারী আমার বোনকে মোবাইল ফোনে ডেকে নেন। আনোয়ার আমার বোনের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করেছেন বলে ওই নারী ফোনে জানান। বোন ওই এনজিওর অফিসে গেলে সেখানে একটি গোপন কক্ষে নিয়ে আনোয়ার তাকে ধর্ষণ করেন।”
এরপর আনোয়ার বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, বোন ওই দিন বাড়ি ফিরে কাউকে কিছু না বলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরিবারের লোকজন তাকে রক্ষা করতে সক্ষম হন। তারপর ধর্ষণের কথা জানাজানি হয়।
“কিন্তু থানার পুলিশ মামলা নিতে চায়নি। সোমবার রাতে আমার বোনকে থানায় বসিয়ে রেখে পুলিশ বলে, মামলা হয়ে গেছে। কিন্তু পুলিশ মামলার কপি দেয়নি। মামলা হয়ে থাকলে সেখানে কী অভিযোগ আনা হয়েছে তা আমরা জানি না।”
মঙ্গলবার সকালে ওই নারীকে মেডিকেল টেস্টের জন্য পুলিশ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে ওসি কাউসার বলেন, “ধর্ষণের ঘটনা লুকানোর কোনো সুযোগ নেই। নিয়মমতই মামলা হয়েছে। ওই নারী তাতে স্বাক্ষরও করেছেন। তাকে পরীক্ষার জন্য মঙ্গলবার শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
তবে মামলার কপি দেওয়া হয়নি কেন সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।