এ সময় তারা সাভার-মিরপুর আঞ্চলিক সড়কও অবরোধ করে।পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রেবেকা নামে কারখানার এক শ্রমিক বলেন, কারখানায় চার শতাধিক শ্রমিক কাজ করে। গত জানুয়ারি মাসের বেতন-ভাতা তারা পাননি।ওই বকেয়া টাকা কারাখানা কর্তৃপক্ষ বার বার প্রতিশ্রুতি দিয়েও পরিশোধ করেনি।
আরেক শ্রমিক আবুল কালাম বলেন, “এরই মধ্যে শ্রমিকরা রোববার সকাল ৮টার দিকে কর্মস্থলে গিয়ে কারখানার মূল ফটকে তালা দেওয়া এবং কারখানা অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণার একটি নোটিশ দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।”
তখন পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিপেটা করলে এতে অন্তত দশজন শ্রমিক আহত হয় বলে জানান তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শ্রমিকদের অবরোধের কারণে সাভার-মিরপুর সড়ক দিয়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল।এর ফলে সড়কের দুই পাশে বেশ কিছু যানবাহন আটকা পড়ে।
পরে বেলা ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা তাদের পাওনা আদায়ে এবং কারখানা খুলে দেয়ার দাবি জানাতে বাস ভাড়া করে বিজিএমইএর উদ্দেশ্যে রওনা হয় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এ বিষয়ে জানতে কারখানার কারখানার ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) বিএম মিরাজ হোসেনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।