সোমবার দুপুরে নোয়াখালী সদর উপজেলার পূর্ব মাইজচরা গ্রামে এক মার্কেটে ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে করা মামলার আসামিরা জামিন আবেদন করলে জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উৎফল চৌধুরী এ আদেশ দেন।
নুরুলসহ আর যাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে তারা হলেন নুরুলের ছোটভাই মোরশেদ আলম, মামাত ভাই পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফিরোজ আলম এবং চর কাউনিয়া গ্রামের ইউসুফ মিয়ার ছেলে আবুল বাশার।
মামলার অভিযোগ উদ্ধৃত করে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোল্লা হাবিবুর রাছুল মামুন জানান, এক সালিশের সিদ্ধান্ত নিয়ে নুরুল আলমের সঙ্গে পাশের ২০ নং আন্ডারচর ইউনিয়নের পূর্ব মাইজচরা গ্রামের ভিডিপি কমান্ডার আবুল কাশেমের (৫৫) বিরোধ বাধে।
এর জেরে ‘গত ৬ জুন রাতে ৩০-৪০ জন অনুসারী নিয়ে নুরুল চেয়ারম্যান পূর্ব মাইজচরা গ্রামে আবুল কাশেমের একটি মার্কেটে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের পর অগ্নিসংযোগ করেন। এ সময় কনফেকশনারী, ফার্মেসি ও মুদি দোকান, ডেকোরেশন ও হার্ডওয়ারসহ পাঁচটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে আবুল কাশেমের প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।’
এ ঘটনায় আবুল কাশেম বাদী হয়ে নুরুল আলম চেয়ারম্যনকে প্রধান আসামি করে ১৬ জনের বিরুদ্ধে জেলার চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।
বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন।
নুরুল চেয়ারম্যানসহ মামলার চার আসামি সোমবার দুপুরে আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। এ বিষয়ে শুনানি আসামিদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
বিকালে তাদেরকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।