ময়মনসিংহে মাদ্রাসা ছাত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণ, আটক ২

ময়মনসিংহে হাফেজিয়া মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে ধর্ষণে জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।

ময়মনসিংহ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Jan 2020, 11:16 AM
Updated : 9 Jan 2020, 11:16 AM

বৃহস্পতিবার কোতোয়ালী থানার ওসি শাকের আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার এ কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণের ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।

“এ ঘটনায় মামলা দায়েরেরও প্রস্তুতি চলছে।”

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার ওই মাদ্রাসা ছাত্রী বলেন, মঙ্গলবার বিকালে বোরকা কিনতে মুক্তাগাছায় আসি। বোরকা কেনার পর বাড়িতে ফেরার জন্য সিএনজি খোঁজার সময় পূর্বপরিচিত ওবাইদুলের সাথে দেখা হয়।

“সে আমাকে বলে আমিও যাব, তাই তার সাথে সিএনজিতে উঠি। সিএনজিতে কালো বোরকা পরা আরো একজন ছিল।

“পরে সিএনজি ভিন্নপথে চলতে শুরু করলে আমি চিৎকার করি। এ সময় বোরকা খুলে এক যুবক আমার মাথায় পিস্তল ধরে বলে চিৎকার করলে মেরে ফেলব।”

‘বোররচর ইউনিয়নে নির্জন এক বাড়িতে’ নিয়ে যায় তাকে।

“শাকিল, ওবাইদুল, নাঈম আমাকে দলবেঁধে ধর্ষণ করলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরদিন সকালে ওই তিনজন আমাকে একটি গাড়িতে তুলে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।“

ধর্ষণের শিকার কিশোরী তার মা-বাবাকে ঘটনা জানালে তারা তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ভিক্টিমের বাবা বলেন, “আমার মেয়ে মাদ্রাসায় পড়ে বোরকা কিনতে মুক্তাগাছায় আসলে শাকিল, ওবাইদুল, নাঈম আমার তুলে নিয়ে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করেছে।

“আমি ওই তিনজনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। যেন আর কেউ এমন কাজ করতে সাহস না পায়।”

মুক্তাগাছা থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, সদর থানা থেকে বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে।

“এ বিষয়ে মুক্তাগাছা বা কোতোয়ালী যে কোন থানাতেই মামলা করা যাবে। মামলা হলে আমরা সুবিচার নিশ্চিত করব।”