এ ঘটনায় মামলা করার পর বুধবার আসামির বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করেছে।
বুধবার দুপুরে গনভূঁইয়া পৌরসভার বেতুয়া গ্রাম থেকে মেয়েটিকে অপহরণ করা হয় বলে তার বাবা মামলায় অভিযোগ করেন।
মামলার আসামি হলেন দাগনভূঁইয়া বাজারের ফল ব্যবসায়ী খুরশিদ আলমের ছেলে আশ্রাফুল আলম হৃদয়।
দাগনভূইয়া থানার এসআই মশিউর রহমান মামলার বরাত দিয়ে বলেন, দাগনভূঁঞা বালিকা বিদ্যালয়ের এই এসএসসি পরীক্ষার্থী ছাত্রীটি বুধবার দুপুরে প্রাইভেট পড়তে স্কুল যাওয়ার সময় পৌরসভার বেতুয়া গ্রাম থেকে ৭-৮ জন যুবক অপহরণ করে। তারা মেয়েটিকে একটি সাদা প্রাইভেটকারে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
এই ছাত্রীর মা বলেন, খুরশিদ আলমের ছেলে ‘বখাটে’ হৃদয় দীর্ঘদিন ধরে তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। সম্প্রতি বিষয়টি তারা স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. শাহীনকে অবহিত করেন। এক পর্যায়ে হৃদয় তার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়। তারা প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দিলে হৃদয় ও তার সঙ্গীরা মেয়েকে অপহরণ করেছে।
দাগনভূইয়া থানার ওসি আসরাম শিকদার বলেন, অপহরণের মামলার পর পুলিশ আসামির বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে। এ সময় আসামি হৃদয়কে না পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার বাবাকে থানায় আনা হয়েছে।
একই সঙ্গে পুলিশ অপহৃত ছাত্রীটিকে উদ্ধারের চেষ্টাও চালাচ্ছে বলেও তিনি জানান।