নড়াইলে ‘মাদকসেবীরা’ কুপিয়েছে ৩ জনকে

‘মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায়’ নড়াইলে এক ইউপি সদস্যসহ তিনজনকে কুপিয়ে আহত করেছে কয়েকজন যুবক, যাদের মাদকসেবী বলছে স্থানীয়রা।

নড়াইল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Jan 2020, 05:46 PM
Updated : 7 Jan 2020, 06:08 PM

মঙ্গলবার কালিয়া উপজেলার খাশিয়াল ইউনিয়নের খাশিয়াল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহতরা হলেন- খাশিয়াল ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য কাবির বিশ্বাস (৩৫), ইমামুল সিকদার (৩৮) ও আতাউর সিকদার (৪০)।

কাবিরের মাথায় রাম দায়ের কোপে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। আর ইমামুলের শরীরের একাধিক জায়গায় ধারাল অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছে। এই দুজনকে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ফেরদৌস নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

কাবির বিশ্বাস অভিযোগ করেন, খাশিয়াল ইউনিয়নের পুঠিমারি গ্রামের শাহাজান শেখের ছেলে সাইফুল শেখ (৩০), মাখন শেখের ছেলে হৃদয় শেখ (৩২), হায়দার শেখের ছেলে ছবির শেখ দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসাসহ সেবন করে আসছে। তারা খাশিয়াল গ্রামের হিমায়েত শিকদারের বাড়ির একটি ঘরে জোরপূর্বক প্রবেশ করে নেশা করত।

“মঙ্গলবার দুপুরে তারা হিমায়েত শিকদারের ঘরে প্রবেশ করতে গেলে প্রতিবেশী আতাউর শিকদার বাধা দেন। এ সময় মাদকসেবীরা তাকে মারপিট করে চলে যায়।”

কাবির বলেন, “আতাউরের কাছে খবর পেয়ে এলাকায় পুলিশ আসে। এর কিছু সময় পর ওই মাদকসেবীরা সংঘবদ্ধ হয়ে আতাউরের ওপর হামলা করতে গেল আমি ও ইমামুল শিকদার বাধা দেই। এ সময় মাদকসেবীরা আমাদের কুপিয়ে আহত করে।”

নড়াগাতি থানার এসআই মাহাবুবুর রহমান বলেন, “মাদকসেবীরা হিমায়েত শেখের বাড়িতে নেশা করে কি না জানা নেই। তবে মঙ্গলবার নেশা সংক্রান্ত ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।”

নড়াগাতি থানার ওসি মো. আলমগীর কবির বলেন, নেশা সংক্রান্ত ঘটনায় ওই এলাকায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পাকুড়িয়া গ্রামের দুলাল শেখের ছেলে ফেরদৌস শেখকে আটক করা হয়েছে।

ঘটনার কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সাইফুল, হৃদয়, ছবির ও তাদের সঙ্গীদের সঙ্গে আতাউরের প্রথম দফা বিবাদের পর পুলিশ আসে। এরপর চাপাতি, রাম দা, বল্লমসহ নানা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আতাউরদের ওপর হামলা করে পুঠিমারির ওই যুবকরা।

এক পর্যায়ে ওসি আলমগীর ঘটনাস্থলে এসে আতাউরদের পক্ষের লোকজনকে শান্ত থাকতে বলে সেখান থেকে চলে যান। এরপরেও এসআই মাহবুবুর ঘটনাস্থলে ছিলেন। তখন আবার ওই যুবকরা আতাউরদের ওপর হামলা করতে এলে এই এসআইয়ের সঙ্গে ইউপি সদস্য কাবির এগিয়ে যান তাদের থামাতে। তখন কাবিরের মাথায় রাম দা দিয়ে কোপানো হয়।