বাবার সঙ্গে শিক্ষকের বিরোধ, স্কুলের ভর্তি ফরম পায়নি মেয়ে  

পঞ্চগড়েরর তেঁতুলিয়া উপজেলায় একটি বিদ্যালয়ে এক ছাত্রীকে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ভর্তি ফরম দেয়নি কর্তৃপক্ষ।

সাইফুল আলম বাবু পঞ্চগড় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Jan 2020, 03:51 PM
Updated : 7 Jan 2020, 03:53 PM

মেয়েটির বাবার সঙ্গে বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরোধের কারণে মেয়েটিকে ভর্তি ফরম দেওয়া হয়নি বলে তার বাবা অভিযোগ করেছেন।

তবে শালবাহান দ্বিমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু জাফর বিরোধের কথা স্বীকার করলেও এটি ফরম না দেওয়ার কারণ নয় বলে তার দাবি।  

শালবাহান ইউনিয়নের যোগীগছ গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী আব্দুল করিম রেন্টু ২০১০ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ওই বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচিত সদস্য ছিলেন।

রেন্টুর ভাষ্য, ২০১৮ সালে কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু জাফরের সঙ্গে তার দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে রেন্টু ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও করেন; পরে যা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

রেন্টুর অভিযোগ, তার মেয়ে কামেলী আক্তার ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর ৬ষ্ঠ শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল; কিন্তু জাফরের সঙ্গে তার বিরোধের কারণে মেয়েকে পরীক্ষায় কৌশলে অকৃতকার্য করানো হয়। ফলে গত বছর তার ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়া হয়নি।

তাকে ভর্তি করানোর জন্য আদালতে একটি মামলাও করেন রেন্টু; কিন্তু দীর্ঘসূত্রিতার কারণে গত বছরের ১২ নভেম্বর তিনি মামলাটি তুলে নেন বলে রেন্টু জানান।

রেন্টু জানান, এবার ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে গত ১৫ নভেম্বর ভর্তি ফরম নিতে যান; কিন্তু ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নানা অজুহাতে এবার মেয়ের জন্য ভর্তি ফরম দেননি।

“এ বিষয়ে ইউএনওর কাছে অভিযোগ দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি হয়নি।” 

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু জাফর বলেন, “একটি মামলা চলমান থাকায় তাকে ভর্তি ফরম দেওয়া হয়নি। এছাড়া ৮০ জনের বেশি ও জিপিএ-২ এর কম নম্বর প্রাপ্তদের ভর্তি না করানোর সিদ্ধান্ত রয়েছে। তাই ওই শিক্ষার্থীকে ভর্তি ফরম দেওয়া হয়নি।”

তবে ওই শিক্ষার্থীর বাবার সঙ্গে তার বিরোধের কথাও স্বীকার করেন তিনি।

তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল আলম বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহীন আকতার বলেন, “জিপিএ-২-এর কম পাওয়া কাউকে ভর্তি ফরম দেওয়া যাবে না এমন কোনো বিধান নেই। বিষয়টি আমি খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেব।”