এই দাবিতে রোববার শাহরাস্তি উপজেলার শোরশাক বাজারে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন।
গত ৩১ ডিসেম্বর শাহরাস্তি উপজেলার চেড়িয়ারা গ্রামে বসতঘরে ঢুকে রফিকুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় একটি মামলা করেছেন তার স্ত্রী। এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সমাবেশে রফিকের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন পিনু বলেন, “আমার স্বামীকে আমাদের চোখের সামনে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি হত্যাকারীদের অতিদ্রুত গ্রেপ্তার করে ফাঁসির দাবি করছি।”
মামলায় সোহেল, কালু, মুন্না, আবুল কালাম, আমিনুল ইসলাম সাগরসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও ১৫ জনকে আসামি করেছেন বলে তিনি জানান।
নিহতের ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী মুন্না বলেন, “আমার বাবাকে যারা হত্যা করেছে তাদের শাস্তির দাবি জানাই। সন্ত্রাসীরা আমাদের ঘরে এসে এলোপাতাড়িভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।”
এই কিশোর তার বাবার হত্যকারীদের বিচারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
মামলার বরাতে শাহরাস্তি থানার ওসি শাহ্ আলম বলেন, গত ৩১ ডিসেম্বর শাহরাস্তির চেড়িয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে চায়ের দোকানে বসাকে কেন্দ্র করে দুটি পক্ষের মধ্যে ঝগড়া হয়।
“এর জেরে চেড়িয়ারা গ্রামে রফিকুল ইসলামের বসতঘরে গিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে কয়েকজন যুবক।”
রফিকুলকে বাঁচাতে গিয়ে তার মামাত ভাই মনসুর আহমেদ এবং চাচাত ভাই মহিউদ্দিন রুবেলও আহত হন। তারা চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এই ঘটনায় ৩১ ডিসেম্বর রাতেই পুলিশ কালু নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে এবং মামলার অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে ওসি জানান।