রোববার দুপুরে ‘দুই হাত, পেট ও বুকসহ শরীরের ২২ শতাংশ পুড়ে যাওয়া’ ওই কিশোরকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
ঘটনায় দগ্ধ মাহফুজ ঢালী (১৩) নামের ওই কিশোর স্থানীয় বকশিরচর দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। তার বাবা কালাম ঢালী গাছ ব্যবসায়ী।
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ও প্লাষ্টিক সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক এমএ আজাদ জানান, মাহফুজকে শনিবার সন্ধ্যার পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
“তার দুই হাত, পেট ও বুকসহ শরীরের ২২ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য রোববার দুপুরে তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
মাহফুজের বড় ভাই মাসুদ ঢালী অভিযোগ করে বলেন, শনিবার সকালে একই এলাকার দুই কিশোরের সাথে মোবাইল ফোন কেনা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।
“সন্ধ্যায় স্থানীয় বাজারের মিজানের দোকানে বসা ছিল মাহফুজ। এ সময় তারা তাকে দোকানের পিছনে ডেকে নিয়ে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।”
মাহফুজের চিৎকারে স্থানীয়রা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় বলে জানান তিনি।
তবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বরিশাল মহানগর পুলিশের বিমান বন্দর থানা ওসি জাহিদ বিন আলম জানান, তারা তিন জনই সমবয়সী।
“শনিবার সন্ধ্যায় শুকনো কলাপাতায় আগুন ধরালে সেই আগুনে একজন দগ্ধ হয়েছে বলে স্থানীয়রা প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে।
“তবে মাহফুজের পরিবারের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ করা হয়েছে।”
এ ঘটনায় তাদের থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, “ঘটনার সময় তিনজনই ছিল। এদের একজন অগিদগ্ধ। তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকি দুইজনের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ। তাই এখনই স্পষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।”