ধামরাই থানার ওসি দীপক চন্দ্র সহা জানান, ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বুধবার রাতে তারা এই সিদ্ধান্ত নেন।
বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন কাওয়ালীপাড়া বাজার পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক একেএম ফজলুল হক এবং এএসআই শামীম আল মামুন।
ওই তদন্তকেন্দ্রের একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে ধামরাই উপজেলার জালসা গ্রামের সাইদ মিয়া, আজাহার ও শাজাহান মিয়ার বাড়িতে ডাকাতি হয়। ডাকাতদের ছুরিকাঘাতে সাইদ মিয়ার ছেলে জালসা উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র রমজান আলী রঞ্জন নিহত হয়।
ওই ঘটনায় ধামরাই থানায় একটি হত্যা মামলা হলে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পান কাওয়ালীপাড়া বাজার পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক এ কে এম ফজলুল হক।
তদন্ত করতে গিয়ে তিনি আশুলিয়ার জিরানি এলাকার একটি গ্যারেজ থেকে আলামত হিসেবে তিনটি অটোরিকশা জব্দ করেন। এ কাজে তাকে সহযোগিতা করেন এএসআই শামীম আল মামুন।
অটোরিকশা তিনটি কাওয়ালীপাড়া বাজার পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে রাখা হয়। পরে সেগুলো আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
ওই তদন্তকেন্দ্রের কনস্টেবল মাসুম হোসেন বলেন, “অটোরিকশা তিনটি মামলার আলামত হিসেবে জব্দ তালিকায় রয়েছে। সেগুলো হঠাৎ কোথায় গেছে তা ইনচার্জ স্যার বলতে পারবেন।”
এ বিষয়ে জানার জন্য পরিদর্শক ফজলুল হক আর এএসআই শামীম আল মামুনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু সাংবাদিক বলে পরিচয় দেওয়ার পর তারা লাইন কেটে দেন।