বুধবার রাতে বুধবার রাতে নগরের ভাটাপাড়া কালিরখা মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে রাকিব হাসান আবিরকে (১৯) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় বান্ধবীদের নিয়ে গিয়ে বসে গল্প করার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
ইতোমধ্যেই একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূল আসামিকে ধরতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে বলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
শাহ মখদুম থানার ওসি মাসুদ পারভেজ বলেন, ফাহিম হোসেন (১৮) খুনের ঘটনায় আসামি করে নিহতের বাবা হত্যা মামলা দায়ের পর অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
“এ মামলায় রাকিব হাসান আবির ও আযমির হাসানকে (২০) আসামি করা হয়েছে।”
এর আগে বিকালে শাহ মখদুম থানার পবা নতুনপাড়া এলাকায় ‘চার তরুণ-তরুণীকে আড্ডা দিতে মানা করতে গিয়ে’ ছুরিকাঘাতের শিকার হয়ে মারা যান ফাহিম। এছাড়া অপর ছুরিকাহত যুবরাজ (১৯) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান তিনি।
নিহত ফাহিম পবা নতুনপাড়া এলাকার গোলাম হোসেন ছেলে। আহত যুবরাজের বাড়ি একই এলাকায়। তারা নগরের বরেন্দ্র কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।
হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দিতে গিয়ে মাসুদ পারভেজ বলেন, ভাটাপাড়ায় রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের পেছনে দুই তরুণ এবং দুই তরুণী বসে গল্প করছিলেন।
“তখন নিহত ফাহিম এবং তার দুই বন্ধু যুবরাজ ও সৈকত তাদের বলেন, ‘এখানে বসে গল্প করা যাবে না।’
“এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে তরুণীদের সঙ্গে বসে থাকা আযমির ছুরি দিয়ে ফাহিম ও যুবরাজকে আঘাত করেন। এ সময় প্রাণভয়ে সৈকত পালিয়ে যান।”
পরে স্থানীয় লোকজন ফাহিম ও যুবরাজকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সন্ধ্যার আগে ফাহিম ও যুবরাজকে হাসপাতালে আনার কথা উল্লেখ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক সাইফুল ফেরদৌস বলেন, ফাহিমের বুকের বাঁ পাশে ছুরির আঘাতের চিহ্ন ছিল। তিনি রাত ৮টার দিকে মারা যান।
“তবে যুবরাজ শঙ্কামুক্ত। তার বুকের ডান পাশে আঘাত রয়েছে।”