গোপালগঞ্জে আনিসুরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা

যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির বহিষ্কৃত দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে তার নিজ জেলা গোপালগঞ্জের আদালতে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Oct 2019, 03:30 PM
Updated : 19 Oct 2019, 03:30 PM

বৃহস্পতিবার জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কাঞ্চন কুমার কুন্ডুর আদালতে এই মামলা করেন মুকসুদপুর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আওলাদ কাজীর ছেলে হাউল কাজী।

মামলায় কাজী আনিসুর রহমানের সঙ্গে তার তার শ্বশুর বাচ্চু মুন্সিকেও আসামি করা হয়েছে।

আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বলে বাদীর আইনজীবী এম এ আলম জানিয়েছেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০১৮ সালে মুকসুদপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের  গোপালপুর গ্রামের দেড়শ মানুষের কাছ থেকে চাঁদা নিয়েছেন কাজী আনিসুর রহমান ও তার শ্বশুর বাচ্চু মুন্সি।

তখন তারা এ ব্যাপারে মামলা করতে গেলেও পুলিশ তাদের মামলা নেয়নি বলে এই মামলায় অভিযোগ করা হয়।

গত সাত বছর যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের কাজী ফায়েক আলীর ছেলে কাজী আনিসুর রহমান। তিনি যুবলীগ অফিস সহায়ক থেকে দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্বে যান। এরপর সাত বছরে তিনি সম্পদের পাহাড় গড়েন।

ক্যাসিনোকাণ্ডে যুবলীগ নিয়ে সারা দেশে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে আনিসুরের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর গত ১১ আক্টোবর তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।

মামলার বাদী হাউল কাজী বলেন, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে কাজী আনিসুরের শ্বশুর বাচ্চু মুন্সি তাকে ডেকে বলেন আনিসুর একলাখ টাকা দিতে বলেছেন। তিনি তখন বাচ্চু মুন্সিকে একলাখ টাকা দিয়ে দেন। 

“এর আগে বাচ্চু মুন্সির সাথে আমাদের বিরোধ ছিল। পরে এটি  স্থানীয়রা সমাধান করে দেন। কাজী আনিসুর যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা হওয়ার পর পুরনো ক্ষোভ মেটাতে আনিসুরের শ্বশুর বাচ্চু জামাইয়ের দোহাই দিয়ে একলাখ টাকা আদায় করেন।”

তিনি আরও বলেন, শুধুতাই নয়, আনিসুর শ্বশুর বাচ্চুর মাধ্যমে কাজ দেওয়ার কথা বলে গোপালপুর গ্রামের ১৫০ জনের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেছেন। তাদের কাজ দেননি। এমনকি আজ পর্যন্ত টাকাও ফেরৎ দেননি। এ ব্যাপারে তখন থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি।

মামলা না নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে মুকসুদপুর থানার ওসি মোস্তফা কামাল পাশা বলেন, “গত বছর আমার কাছে কাজী আনিসুরের বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনো অভিযোগ নিয়ে  গোপালপুর গ্রাম থেকে কেউ আসেনি। আসলে অবশ্যই অভিযোগ গ্রহণ করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতাম।”

তিনি এই থানায় গত দুই বছর ধরে চাকরি করছেন উল্লেখ করে বলেন, এরমধ্যেও কেউ কাজী আনিসুরের বিরুদ্ধে থানায় কোনো অভিযোগ নিয়ে যাননি।