কোতোয়ালি থানার এসআই বেলাল হোসেন জানান, মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে পশ্চিম গঙ্গাবর্দী গ্রামের বাড়ি থেকে তারা তার লাশ উদ্ধার করেন।
নিহত ঝর্ণা মণ্ডল (৪২) ওই গ্রামের দুলাল মণ্ডলের (৪৮) স্ত্রী। এক ছেলে ও এক মেয়ের মা তিনি। দুলাল রাজমিস্ত্রির কাজ করেন।
এসআই বেলাল প্রাথমিক তদন্তের তথ্য দিয়ে বলেন, “সকালে ঝর্ণার স্বামী ও ছেলে কাজে যান। আর মেয়ে ছিলেন মামাবাড়ি। ঝর্ণা বাড়িতে একা ছিলেন।
“দিনের কোনো এক সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঝর্ণার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়।”
পুলিশ লাশ উদ্ধারের সময় ঘরের দরজা খোলা পেয়েছে বলে তিনি জানান।
ওই এলাকার বাসিন্দা কাদের মোল্লা বলেন, দুলাল ও তার পরিবারের সদস্যরা নিরীহ প্রকৃতির। বছর বিশেক আগে নদীভাঙনে বাড়িঘর হারায় পরিবারটি। পরে পশ্চিম গঙ্গাবর্দী এলাকায় জমি কিনে বাড়ি বানিয়ে বসবাস করে আসছে। তাদের কোনো শত্রু আছে বলে কখনও শোনা যায়নি।
জেলার পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জামাল পাশা বলেন, “এটি একটি ক্লিন হত্যাকাণ্ড। খুনি হত্যা করতেই এসেছিল; কোনো সম্পদে হাত দেয়নি।”
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ ঘটনা তদন্ত করছে।