জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকি জানান, রবি থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত পুরানবাজার সেতু থেকে চাঁদপুর সেতু পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ডাকাতিয়া নদীতে শত শত মণ মাছ মরে ভেসে উঠেছে।
চাঁদপুরে ২০০২ সাল থেকে খাঁচায় মাছ চাষ শুরু হয় জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে ওই এলাকায় প্রায় আড়াই হাজার খাঁচায় মাছ চাষ করা হয়।
“মাছ মরার কারণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মাছের খাঁচার পাশে নদীতে অবৈধভাবে জাক তৈরি করার কারণে কচুরিপানার জটলা সৃষ্টি হয়। এ কারণে পানিতে অক্সিজেন কমে যায়। হয়ত এ কারণে মাছ মারা যাচ্ছে।”
তিনি বলেন, ডাকাতিয়া নদীতীরে দুটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থাকায় সেখানকার কেমিক্যাল মিশ্রিত পানির প্রভাবে মাছ মরে যাচ্ছে কিনা তাও পরীক্ষা করে দেখা হবে।
ক্ষতিগ্রস্ত মাছচাষি মো. তাজুল ইসলাম গাজী বলেন, ডাকাতিয়া নদীতে তার আটটি খাঁচা রয়েছে।
“এসব ভাসমান খাঁচায় দীর্ঘদিন ধরে তেলাপিয়া মাছ চাষ করছি। গত কয়েক দিনে হঠাৎ মাছে মড়ক দেখা দিয়েছে। সব মাছ মরে ভেসে উঠছে। কী কারণে হচ্ছে তা বলতে পারছি না। এতে আমরা আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।”
খাঁচায় মাষ চাষ সমিতির সভাপতি মো. আলমগীর মিয়াজী বলেন, “মাছ মরে ভেসে ওঠায় চাষিরা আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।”
চাঁদপুরে ২৫০ জন চাষি খাঁচায় মাছ চাষ করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, এসব খামারের প্রায় ৪০০ শ্রমিক কাজ করেন।