বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ, আন্দোলনকারীদের উপর হামলার অভিযোগ

উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনের মুখে গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Sept 2019, 08:54 AM
Updated : 21 Sept 2019, 09:34 AM

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, শুক্রবার রাত থেকে তাদের হলে খাবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে হলে বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

এছাড়া আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতরা হামলা চালিয়েছে বলেও তারা অভিযোগ করেছেন।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ১৪৪ ধারা জারি করার জন্য জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার নূরউদ্দিন আহমেদ বলেন, “আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

“শিক্ষার্থীদের শনিবার সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এজন্য হলের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসককে ১৪৪ ধারা জারি ও পুলিশ সুপারকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ ক্যাম্পাসে মোতায়নের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।”

তবে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলতে চাননি।

গত ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাংবাদিক ফাতেমা-তুজ-জিনিয়িাকে বহিষ্কার করা হলে এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের সমালোচনার মুখে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি-স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, শুক্রবার রাত থেকে হলে খাবার সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে হলে বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পথে বহিরাগতরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করেছে।

এতে ২০ শিক্ষার্থী আতে হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।

তাদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসহ সব প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াতের সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ও প্রধান ফটকের বাইরে অবস্থান নিয়ে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।

এই পরিস্থিতিতে র‌্যাব ও পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।

সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা তিনি জানেন না বলে দাবি করেছেন।