আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, শুক্রবার রাত থেকে তাদের হলে খাবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে হলে বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
এছাড়া আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতরা হামলা চালিয়েছে বলেও তারা অভিযোগ করেছেন।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ১৪৪ ধারা জারি করার জন্য জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করা হয়েছে।
“শিক্ষার্থীদের শনিবার সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এজন্য হলের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসককে ১৪৪ ধারা জারি ও পুলিশ সুপারকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ ক্যাম্পাসে মোতায়নের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।”
তবে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলতে চাননি।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, শুক্রবার রাত থেকে হলে খাবার সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে হলে বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পথে বহিরাগতরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করেছে।
এতে ২০ শিক্ষার্থী আতে হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।
আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ও প্রধান ফটকের বাইরে অবস্থান নিয়ে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।
এই পরিস্থিতিতে র্যাব ও পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা তিনি জানেন না বলে দাবি করেছেন।