মামলায় হয়রানির অভিযোগ ব্যবসায়িক অংশীদারের বিরুদ্ধে

খুলনায় এক ব্যবসায়ী  ও তার পরিবারের সদস্যদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে তার ব্যবসায়িক অংশীদারের বিরুদ্ধে।

খুলনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Sept 2019, 05:15 PM
Updated : 19 Sept 2019, 05:16 PM

এ বিষয়ে বুধবার খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই ব্যবসায়ীর বাবা মো. আব্দুল কাদের (৬৭)। তিনি নগরীর শেরে বাংলা রোডের বাসিন্দা।  

সাংবাদিকদের উদ্দেশে আব্দুল কাদের বলেন, তার তিন ছেলে ওবায়দুর রহমান (৪৩), মাহমুদুর রহমান (৩৬) ও আরিফুর রহমান (২৮)।

এদের মধ্যে মাহমুদুর রহমান আইটি আউটসোর্সিং ফার্ম ‘ক্লিপিং ডিজাইন’ এর মালিক এবং আরিফুর রহমান মধুমতি ব্যাংক লি. এ কর্মরত বলে জানান কাদের।

মাহমুদুর রহমানের বন্ধু মাজেদ সরকার পারভেজ গাইবান্ধা সদরের রঘুনাথপুরের মৃত আব্দুল মতিন সরকারের ছেলে। বর্তমান থাকেন খুলনার সোনাডাঙ্গার শেরে বাংলা রোডে।

আব্দুল কাদের বলেন, তার ছেলে মাহামুদুর রহমান ও মাজেদ সরকার পারভেজ ক্লিপিং ডিজাইন এর শেয়ারের মালিক। আর তার ছেলে মাহমুদুর রহমান ক্লিপিং ডিজাইন ওয়েবসাইটের মালিক। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে একমাত্র গ্রাফিক্স ডিজাইনের ব্যবসায় যে লাভ হবে তার ৪৫ শতাংশ পাবেন মাহমুদুর রহমান ও ৩৫ শতাংশ পাবেন মাজেদ সরকার পারভেজ পাবেন। ২০ শতাংশ ব্যবসার উন্নয়নে বরাদ্দ থাকবে।

এই চুক্তিতে তারা ২০১১ সাল থেকে ব্যবসা করে আসছিলেন।

আব্দুল কাদের বলেন, মাজেদ সরকার পারভেজ গত ১৫ অগাস্ট একটি ‘ভুয়া চুক্তিপত্র’ তৈরি করেন যেখানে নিজেকে তিনি ক্লিপিং ডিজাইনের ওয়েবসাইটের মালিক দাবি করেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছে মিথ্যা অভিযোগ ও জাল চুক্তিপত্র এবং কাল্পনিক কাহিনী তৈরি করে আব্দুল কাদের, তার ২য় ছেলে, ছোট ছেলের বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা থানায় চার কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা দায়ের করেন।

এরপর মামলাটি খুলনা সিআইডির কাছে যায়।

“ওই মামলায় সিআইডি আমাকে ও আমার মেজ ছেলেকে আটক করে। আমি গত ২৮ অগাস্ট তারিখে আদালতের জামিনে বের হই। আমার ছেলে এখনও মিথ্যা অভিযোগে জেল হাজতে রয়েছে।”

তিনি বলেন, এ অবস্থায় মাজেদ সরকার পারভেজ তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে থানায় জিডি করে তাকে নানাভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন এবং তার দাবি করা টাকা দিয়ে আপোশ করার কথা বলছেন।

তিনি তার ও ছেলেদের বিরুদ্ধে করা মামলা মিথ্যা বলে দাবি করছেন।

এ ব্যাপারে মাজেদ সরকার পারভেজের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।